সংক্ষিপ্ত
- বিজেপিতে করোনার জন্য় তৃণমূল কাঠগড়ায়
- এ বিষয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি
- অনেক জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি
- নিজেই সেকথা জানালেন মেদিনীপুরের সাংসদ
এবার বিজেপিতে করোনার হানার জন্য় তৃণমূলকেই পরোক্ষে দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন,তৃণমূলের দুর্নীতি ঠেকাতেই রাস্তায় নামতে হয় দলীয় কর্মীদের। রাজ্য়বাসীকে ন্যায্য় রেশন পাইয়ে দেওয়ার দাবিতেই নামতে হয় তাদের। অনেক জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি। যা থেকে দলে সংক্রমণ হয়েছে।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপবাবু বলেন, লকডাউন শুরু হতেই রাস্তায় নামেননি তারা। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে লকডাউন পালন করছিলেন তারা। কিন্তু তৃণমূল রেশন থেকে আমফানের ত্রাণ সবকিছুতেই দুর্নীতি শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে নামে বিজেপি। সাধারণ মানুষের পাওনা গণ্ডা বুঝিয়ে দিতেই রাজ্য়ে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তাদের। যা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ছড়িয়েছে দলের অন্দরে।
রাজ্য় বিজেপির বর্তমান চিত্র বলছে, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির হুগলির সাংসদ লকেট চট্টেপাধ্যায়। নিজেই করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। তবে লকেট একা নন, কদিন আগেই করোনা হানা দিয়েছে তৃণমূলে। ইতিমধ্য়েই দলে করোনার বলি হয়েছেন বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কিছুদিন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
তবে করোনা চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে। কারণে দলের বহ নেতা নেত্রীর জ্বরে কাবু হয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্য়েই সবাইকে র্যালি বাতিল করতে বলেছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। আপাতত ভার্চুয়াল র্য়ালিতেই প্রচার চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে কর্মীদের।