সংক্ষিপ্ত
- চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার মামলা
- ৬ সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না মণিরুল ইসলামকে
- লাভপুর থানা এলাকায় আপাতত তিনি ঢুকতে পারবেন না
- এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট
চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার মামলায় ৬ সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক মণিরুল ইসলামকে৷ লাভপুর থানা এলাকায় আপাতত তিনি ঢুকতে পারবেন না। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ভুয়ো প্রতিশ্রুতির এই মামলায় ৫ বছর আগে মণিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ দীর্ঘদিন পদক্ষেপ নেয়নি৷ এখন হঠাৎ নড়েচড়ে বসেছে। এতে ক্ষুব্ধ আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, দোষী কে তা বোঝা গেলেও দলবদলের পর তাকে দোষী ঠাওরানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের।
স্কুলে দেরি, শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেড় ঘণ্টা বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন গ্রামবাসীরা
লাভপুরের প্রায় ৩৪ জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন স্কুলে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। চাকরি না পেয়ে লাভপুর থানায় ৫ বছর আগে এফআইআর হয়। অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন মণিরুল। এরপর বিষয়টি মাথাচাড়া দেয়।
ঋতুস্রাবের পাঠ-ক্যারাটে প্রশিক্ষণ, মিমির হাত ধরে এবার যাদবপুরে সুকন্যা
গ্রেফতারি ঠেকাতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান ওই বিধায়ক। শুক্রবার শুনানির সময় ডিভিশন বেঞ্চ নথিপত্র যাচাই করতে গিয়ে দেখে, ৪ বছর আগে বিশ্বজিৎ মন্ডল ও কাজল রায় নামে দুই অভিযোগকারীর সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে মণিরুলের চুক্তি হয়েছিল। অথচ সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত।
নবীন পট্টনায়েকের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মুখোমুখি অমিত-মমতা, অধরাই থাকল এনআরসি-এনপিআর
ডিভিশন বেঞ্চ এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করে, দোষী কে তা বোঝা গেলেও দলবদলের পর (মণিরুল বিজেপিতে নাম লেখানোয়) তাকে দোষী ঠাওরানো হচ্ছে৷ এটা অত্যন্ত দুঃখের। অভিযোগকারীর বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের দেওয়া নথিপত্রে বিস্তর গলদ রয়েছে। তাই এর ভিত্তিতে কাউকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া যায় না। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, তদন্তের জন্য পুলিশ তলব করলে মণিরুলকে যেতে হবে৷ আপাতত লাভপুর এলাকায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। ওই বিধায়ক যেখানে থাকবেন, মামলার তদন্তকারী অফিসারকে সেই ঠিকানা জানিয়ে রাখতে হবে৷ ৪ সপ্তাহ পর ফের মামলাটি উঠবে৷