সংক্ষিপ্ত

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার রায়ের পরই সরব হয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার রায়ের পরই সরব হয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের উপাচার্যদের জন্যও একটি বার্তা দিয়েছেন। 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। আর সেই কারণে এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। তিনি বলেছেন বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া উপাচার্যদের 'অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নৈতিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতার হয়ে ওঠে।' তিনি আরও বলেছেন, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ। তিনি তাঁর টুইটে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন।

এদিনই সুপ্রিম কোর্টে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়র পুনর্নিয়োগ মামলায় ধাক্কা খেয়েছেন রাজ্য সরকার। কারণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর দ্বিতীয়বারের নিয়োগকে খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রেখেছে। যার অর্থ সোলানি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ আর বৈধ নয়। তারপরই শুভেন্দু কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। 

সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য পজে পুনর্বহাল করেছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবি অনিন্দ্য সুন্দর দাস। সেই মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয় সোনালিকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে আদালত সোনালিকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরই রাজ্যের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। ৫০তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় , উত্তরসুরির নাম সুপারিশ প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের

সোনালির পুনর্নিয়োগ মামলায় রাজ্যের ধাক্কা, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'মানিক-যোগ', অনুমান প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধান দিতে পারেন তৃণমূল বিধায়ক