সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। পথ অবরোধ করেন তাঁরা। এরপর অগ্নিমিত্রা সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিজেপির মহিলা মোর্চার বিক্ষোভ চলছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, নারী নির্যাতন সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান সদস্যরা। এদিকে মহিলা মোর্চার আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ভবানী ভবনের সামনে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। পথ অবরোধ করেন তাঁরা। এরপর অগ্নিমিত্রা সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে সরব হয় বিজেপি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও এনিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন। তা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষের শিকারও হয়েছিলেন তিনি। আর এবার এনিয়েই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি মহিলা মোর্চা।
এদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভবানীভবনের সামনে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানান মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীরা। এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। প্রস্তুত ছিল প্রিজন ভ্যানও।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কর্মীর ছাদের জলে ঘর ভাঙল দিনমজুরের, প্রতিবাদ করায় জুটল মার
আরও পড়ুন- কুকুরে টেনে নিয়ে গিয়েছে মাথা, পোশাক দেখেই মিলল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের খোঁজ
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, "রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সিপিএম ধর্ষণকে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করত। তৃণমূলও তাই করছে। কেন বিজেপি করায় ধর্ষণের শিকার হতে হবে একজন নারীকে? মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে কি নারী সুরক্ষার এই উদাহরণ?"
আরও পড়ুন- জল বাড়ছে গঙ্গায়, রাক্ষুসে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবি
আরও পড়ুন- বিপদসীমা পার করে মানিকচকে ঢুকল গঙ্গার জল, 'খোঁজ নেয়নি প্রশাসন', অভিযোগ দুর্গতদের
এরপরই গ্রেফতার করা হয় অগ্নিমিত্রা সহ বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি কাজে বাধাদান, যানচলাচলে বাধা ও করোনা বিধি না মেনে বিক্ষোভ করার অভিযোগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশেষে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জামিন দেয় পুলিশ।
ভবানী ভবনের পাশাপাশি বিবেকানন্দ কলোনিতেও বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে আগে থেকেই প্রশাসনের তরফে সেখানে মহিলা পুলিশ সহ প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মহিলা মোর্চার মিছিল ওই এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই পুলিশ তাঁদের জোর করে গ্রেফতার করে। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। প্রাক্তন কাউন্সিলর মিনা দেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।