সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে খবর।

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং(BJP MP Arjun Singh) ও তার পুত্র বিধায়ক পবন সিং দুজনকেই ফের একবার চোর বলে কটাক্ষ করলেন জগদ্দললের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন(District administration of North 24 Parganas) অভিযোগ তুলেছে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সাংসদ তাহবিল(MP fund) থেকে কোটি কোটি টাকা শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে(Barrackpore Industrial Area) বেশ কয়েকটি স্কুলের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অথচ সেই স্কুল গুলি বিষয়টি অস্বীকার করে যে তাদের কাছে কোন অর্থ যায়নি। এমনকি অ্যাকাউন্ট গুলি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলেও খবর আসছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী আসল রহস্য কোথায় তা নিয়ে বাড়ছে চাপানউতর। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি পদ্ম নেতাদেক। এমনকী অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখেননি কেউই।

ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটে(Barrackpore Commissionerate) এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে খবর। এই সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন," অর্জুন সিং নিজের লোকেদের দিয়ে স্কুলের নামে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরানোর কাজ করেছে, আর এখন নিজে বাঁচার জন্য নিজে থানায় উল্টো অভিযোগ করেছে। আসলে অর্জুন সিং যে চোর আবার প্রমাণ হয়ে গেলো। কারন এই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি অর্জুন সিং ঘনিষ্ট।" তবে এই সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি নন সাংসদ অর্জুন সিং।

আরও পড়ুন-সেনারা দিন-রাত প্রহড়ায় দাঁড়িয়ে, আর আপনি ২০ মিনিট দাঁড়াতে পারবেন না! মোদীকে খোঁচা কুনাল কামরার

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, উনি মিডিয়ার সামনে বলছেন এফআইআর করেছি, আর এর থেকে বেশি কিছু বলব না। কিন্তু কেন কিছু বলছেন না নিজের দায়বদ্ধতা এড়ানোর জন্যই এই আচরণ করছেন তিনি। ওনার ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী অনির্বান সরকার যখন এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় তখন তিনি উল্টে আবার তার নামে অভিযোগ করেন। আসলে নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু উনি বাঁচতে পারবেন না। কারণ যে অ্যাকাউন্ট গুলি থেকে টাকা গিয়েছে, সেখান থেকে যেখানে যেখানে টাকা গিয়েছে সেগুলির বিষয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট খতিয়ে দেখছে। শীঘ্রই পুরো বিষয়টাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।