সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে তাদের কোনও অনুমতি নেই। তবে তারপরেও পিছু হটেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নবান্ন অভিযান হবে। মিছিলেন নেতৃত্বে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারর, দিলীপ ঘোষের মত রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। তৎপরতা তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরের। কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেই আসবে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। কিন্তু আগেই পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে তাদের কোনও অনুমতি নেই। তবে তারপরেও পিছু হটেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নবান্ন অভিযান হবে। মিছিলেন নেতৃত্বে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারর, দিলীপ ঘোষের মত রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে শহর ও শহরতলির একাধিক রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে শহরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একাধিক রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। 

যানজটের আশঙ্কা
বিজেপির নবান্ন অভিযানের কারণে কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্জ রোড, হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। 

যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে
সকাল ৮টা থেকে বিকের ৩টে পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিট এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  দুপুর ১২টা থেকে বিজেপির কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ট্র্যান্ড রোড ও কিংসওয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এদিন সকাল থেকে বিজেপি কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। 

রাস্তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
মঙ্গলবা সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের। অন্যদিকে ভোর ৪টে থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরে ট্রাক বা মালবাহী গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

বিকল্প রাস্তার সন্ধান
বিকল্প রাস্তা হিসেবে যাত্রীদের লেনিন সরণী মৌলালি এজেসি বোস রোড, এসপি রোড- এই রাস্তাগুলি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 


মঙ্গলবার বিজেপির 'নবান্ন অভিযান' কর্মসূচি। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এটাই প্রথম বড় কর্মসূচি। পাশাপাশি বর্তমানে বিজেপির পালে হাওয়া কিছুটা হলেও কেড়ে নিয়েছে বামেরা। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় বিজেপি নিজেদের পালে হাওয়া কাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে। ট্রেন বাস বোঝাই করে নেতা কর্মীদের সামিল করা হবে । প্রসঙ্গত, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতি হওয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। পুজোর আগে বরাবরই বড় কর্মসূচি নেওয়া হয় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে। অতীতে বামেদের এবং তৃণমূলেরও এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার উদাহরন কম নেই। উৎসবের আবহে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতেই এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। তবে এই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।