সংক্ষিপ্ত

  • অশক্ত শরীর নিয়ে এখনও ছাপ রেখে চলেছেন নিজের।
  • বিশ্বায়নের যুগে চিনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বই লিখেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
  • পুজোয় প্রকাশের আগেই বই নিয়ে উৎসাহ বুদ্ধপ্রেমীদের।
     

অশক্ত শরীর নিয়ে এখনও ছাপ রেখে চলেছেন নিজের। বিশ্বায়নের যুগে চিনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বই লিখেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পুজোয় প্রকাশের আগেই বই নিয়ে উৎসাহ বুদ্ধপ্রেমীদের।

কদিন আগেই অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শ্বাসকষ্টের সঙ্গে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত ছিল শরীর। কমরেডকে একবার দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় সব দলের নেতারা। এতেই প্রমাণিত,দল নির্বিশেষে কতটা জনপ্রিয় প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী। এবার সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বই প্রকাশ পেতে চলেছে পুজোয়। বইয়ের নাম 'স্বর্গের নীচে মহাবিশৃঙ্খলা।' 

৭২ পাতার এই বইতে কমিউনিজম নিয়ে চিনের দ্বন্দ্বমূলক অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে বলেই খবর। জানা গেছে, আটের দশকে প্রমোদ দাশগুপ্তের সঙ্গে একবার চিনি গিয়েছিলেন তিনি। বইয়ের উপসংহারে রয়েছে সেই বর্ণনা। নিজের চোখে কেমন দেখেছিলেন চিনকে, তা পরতে পরতে ফুটে উঠবে নতুন বইতে। সেখানে চিনের প্রাচীর তৈরি থেকে থাকবে টেক জায়ান্ট হিসাবে চিনের উঠে আসার কথা। তবে সবথেকে চোখে পড়বে কমিউনিজম নিয়ে চিনের দ্বান্দ্বিক অবস্থানের বিষয়। যেখানে পুঁজিবাদের কারিগর 'আলিবাবা'র মতো সংস্থা শাসন করে বেড়াচ্ছে বিশ্বকে। সম্পদের সমান অধিকার যেখানে কমিউনিজমের মূল মন্ত্র, সেখানে নিত্যদিন কোটিপতির জন্ম দিচ্ছে চিন। কীভাবে একটা কমিউনিস্ট দেশ এই অবস্থান নিয়েছে তার আলোচনাই থাকছে বইয়ের পাতায় পাতায়। 

বয়সের কারণে এখন আর লিখতে পারেন না। চোখ সায় দেয় না তাই কলমও তোলেন না। তবে ডিকটেশন দিয়ে এখনও জীবনের বহুমূল্য অভিজ্ঞতা দুই মলাটে ভরে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তাঁর বইয়ের প্রতীক্ষায় পাঠককূল।