সংক্ষিপ্ত

  • এ রাজ্যে দুর্ঘটনা কি কমবে?
  • চিনা-সহ সবধরণের মাঞ্জা ব্যবহারে জারি নিষেধাজ্ঞা
  • রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
  • জনস্বার্থ মামলায় রায় প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের

রুশি পাঁজা: পথ-ঘাটে কিংবা সেতুতে, এ শহরে দুর্ঘটনা তো কম ঘটেনি। ঘুড়ির সুতোয় এবার চিনা-সহ সবধরণের মাঞ্জা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: মোদীর পথেই মমতা, আগামী বছর জুন পর্যন্ত ফ্রি রেশন দেবে রাজ্য়

এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় বেরিয়ে স্রেফ চিনা মাঞ্জার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী, খাস কলকাতার এজেসি বসু রোডে চিনা মাঞ্জার লাগানো সুতো গলায় পেঁচিয়ে মারাও গিয়েছেন এক যুবক।  মা উড়ালপুল লাগোয়া এলাকায় রক্তাক্ত হয়েছে উড়ন্ত পাখিরাও!

জানা গিয়েছে,  ২০১৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মা উড়ালপুল দিয়ে যাচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্ত সামন্ত। চিনা মাঞ্জা সুতোয় নাক-মুখ কেটে যায় তাঁর। স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। কিন্তু অভিযোগকারী আইনজীবীকে না জানিয়ে পুলিশ মামলাটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর চিনা-সহ সবধরনের মাঞ্জা সুতো ব্যবহার বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী জয়ন্ত সামন্ত। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মাঞ্জা সুতো ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন।

আরও পড়ুন: একশো দিনে প্রকল্পে কর্মরত গৃহবধূর 'শ্লীলতাহানি', অভিযুক্তকে জুতোপেট করলেন মহিলারা

উল্লেখ্য, মাঞ্জ সুতোর ব্যবহার বন্ধ রুখতে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেয়নি, এমনটা কিন্ত নয়।  গত ২৫ মার্চ রীতিমতো নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি জানিয়ে দেওয়া হয়, এ রাজ্যের কোথাও আর মাঞ্জা দেওয়া সুতো ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। কলকাতার পার্ক সাকার্স, তপসিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় মাঞ্জা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে এবার অন্তত দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করছেন অনেকেই।