সংক্ষিপ্ত
- হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের তদ্ন্ত সিআইডির হাতেই
- কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ সিবিআই তদন্তের দাবি
- সিবিআই তদন্ত চেয়েঠিলেন মৃত বিধায়কের স্ত্রী চন্দ্রিমা রায়
- বিধায়ককে খুন করা হয়েছে বলে সিবিআই চেয়েছিল বিজেপি
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত সিআইডি'র হাতেই থাকছে। মৃত বিধায়কের স্ত্রী চন্দ্রিমা রায় সিবিআই তদন্ত চাইলেও কলকাতা হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়৷ বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ নির্দেশ দেন, সিআইডি'র এডিজি'কে এই তদন্তে নজরদারি করতে হবে৷ কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে বোর্ড গড়তে হবে৷ মেডিকেল বোর্ড খতিয়ে দেখবে বিধায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ১৪ দিনের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে দ্বিতীয় মতামত জানাতে হবে৷
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই সিআইডি তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ একজনকে গ্রেফতারও করেছে৷ মৃতের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। সিআইডি এই মামলার অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেছে৷ ফলে এই পরিস্থিতিতে সিবিআইকে এই মামলার তদন্ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সোমবার মামলার শুনানিতে, বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমাদেবীর আইনজীবী ব্রজেশ ঝা দাবি করেন, বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের আগেই তাকে আত্মহত্যা বলে জানান রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার। সে কারণে পুলিশি তদন্তে এর রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা কম। তাই মৃত্যুর আসল কারণ জানতে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক।
গত ১৩ জুলাই হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য় রাজনীতি। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথবাবু ২০১৬’র নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলেন। বছর খানেক আগে তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির অভিযোগ, বিধায়ককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।