সংক্ষিপ্ত
পুরভোটের দোরগড়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে এই মামলার শুনানি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ফের পিছোল পুরভোট মামলার শুনানি। উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election 2021)। আর পুরভোটের দোরগড়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে এই মামলার শুনানি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি ইভিএম এর সঙ্গে ভিভিএপ্যাট থাকবে না, এনিয়ে সওয়াল করে বিজেপি (BJP)। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন কমিশনের হলফনামা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপির আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ। তাঁদের দাবি, ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম-এ রাজ্যের বকেয়া পুরভোট করাতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, হলফনামায় এমন একাধিক উৎসবের উল্লেখ রয়েছে তা সে অর্থে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অর্থাৎ সেইসময় ভোট হলেও তাতে যায় আসে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি ইভিএম এর সঙ্গে ভিভিএপ্যাট থাকবে না, এনিয়ে সওয়াল করেন বিজেপির আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ২০১৫ সালে ৯১ টি পুরসভা ভোটের জন্য ৮ হাজার ইভিএম চাওয়া হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সেই ইভিএম দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তা হলে কেন বারবার ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম কম বলা হচ্ছে, এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির আইনজীবী।এদিন শুনানি চলাকালানী অপর এক মামলাকারী মৌসুমী রায়ের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কবে ভোট হলফনামায় সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। বাকি মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভায় ভোট কবে হবে, তা কত দফায় হবে, এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। পরিকল্পনা ছাড়াই হলফনামায় দিয়েছেন কমিশন বলে দাবি করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির এজলাসে এদিন সব পক্ষের বক্তব্যই শোনা হয়েছে। এদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কমিশনের হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বা মামলাকারীদের কী বক্তব্য সেটা দুই দিনের মধ্যে জানাতে হবে। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এরাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫ টি। এর মধ্য়ে ১১৮ টি পুরসভা এবং ৭ টি পুরনিগম। সবচেয়ে বড় পুরনিগম কলকাতা। ১৪৪ টি ওয়ার্ড। রাজ্য সরকার প্রথমেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তাঁরা কলকাতা ও হাওড়ায় একইদিনে ভোট চায়। ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিল শাসকদল। যদিও কলকাতা ১৯ তারিখ হলেও শেষ অবধি বাদ পড়ে যায় হাওড়া পুরভোট। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যক্ষ আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি একরাতের মধ্যে তিনটি কৃষি বিল সই করতে পারেন, তবে রাজ্যপাল কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন।উল্লেখ্য বালি পুরসভা হাওড়া পুরনিগম আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। এর জন্য গত ১৭ নভেম্বর বিধানসভায় পাশ হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল। সূত্রের খবর, বিল অনুমোদনের জন্য তিনবার তা রাজভবনে পাঠানো হলেও সই করেননি রাজ্যপাল।