সংক্ষিপ্ত

এবার গোরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। ইডির এই যুক্তির বিরোধীতায় পালটা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন,"তদন্তকারী সংস্থা আমেরিকায় হতে পারে, তাই বলে কি সেখানে নিয়ে যেতে হবে।" 

ইডির পদক্ষেপে প্রশ্ন তুলল আদালত। অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এই পদক্ষেপের প্রেক্ষীতে ইডির যুক্তি যেহেতু মূল মামলা দিল্লি থেকে হয়েছে এবং তদন্তকারী সংস্থার মূল দফতর দিল্লিতে সেই কারণেই সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় ইডি। কিন্তু ইডির এই যুক্তির বিরোধীতায় পালটা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন,"তদন্তকারী সংস্থা আমেরিকায় হতে পারে, তাই বলে কি সেখানে নিয়ে যেতে হবে।" 

এবার গোরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এই প্রসঙ্গে আদালতকে ইডি জানিয়েছে, "মূল মামলাটি হয়েছিল দিল্লি থেকে। তদন্তকারী সংস্থার মূল দফতরও দিল্লিতে। কলকাতায় ইডির শাখা দফতর। তাই ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে কলকাতায়। কিন্তু যেহেতু মূল দফতর দিল্লিতে তাই অফিসারদের দিল্লি থেকে তদন্ত করতে আসতে হয়। তাই সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। 

কিন্তু ইডির এই যুক্তি খারিজ করে পালটা প্রশ্ন করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, "তদন্তকারী সংস্থা আমেরিকায় হতে পারে। কিন্তু মামলা তো এখানে নথিভুক্ত হয়েছে। তাহলে কলকাতার পিএমএলএ কোর্টে হাজির না করিয়ে দিল্লি কেন?"

প্রসঙ্গত গোরুপাচার মামলার তদন্তে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগলকে। বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় আগেই অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সোমবার সিবিআই-এর তদন্তে হদিশ মেলে সহগল হোসেনের আরও দুটি ফ্ল্যাটের। বোলপুরের 'শাওন ধারা' আবাসনে একটি দু'কামরার ও একটি তিন কামরার ফ্ল্যাট রয়েছে সহগল হোসেনের নামে। আবাসন সূত্রে খবর গোরু পাচার মামলা শুরু হওয়ার আগেও বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার আনাগোনা ছিল এই ফ্ল্যাটে। 
সোমবার বিকেলে একজন ব্যাঙ্ককর্মী সহ দু'জন সিবিআই আধিকারিক পৌঁছন বোলপুরের 'শাওন ধারা' আবাসনে। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি 'শিব শম্ভু' চালকলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষকে। বোলপুরের বাঁধগোড়া এলাকার ১০-১২ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলের জমি শিবানী ঘোষ নামে এক মহিলার থেকে লিজে নেওয়া বলে জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে বীরভূমের চালকল অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই রাইস মিলের কনট্যাক্ট পার্সন হিসাবে নাম রয়েছে  কমলকান্তি ঘোষের। ঘটনাচক্রে যেহেতু অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের মা ও বাবার নামও শিবানী ঘোষ এবং কমলকান্তি ঘোষ, তাই এই মিলের মালিকানার নিয়ে স্বভাবতই সন্দেহের তির যায় রাজা ঘোষের দিকে। তবে একটি সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে রাজা স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই চালকল কার তা রাজা জানেন না, এমনকি তাঁর বাবা বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে গত দু'বছর ধরে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি অনুব্রতর ভাগ্নের। অনুব্রত ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক নথি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 

আরও পড়ুন - 

এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি

বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা