সংক্ষিপ্ত
২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections) পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই অশান্তির (Unrest) খবর সামনে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মীদের (BJP Worker) উপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একইভাবে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারকে (Abhijit Sarkar Murder Case) খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তাঁর খুনের অভিযোগে ৫ ফেরার অভিযুক্তের তালিকা প্রকাশ করল সিবিআই (CBI)। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার (Reward) দেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে অমিত দাস, টুম্পা দাস, অরূপ দাস, সঞ্জয় বারিক ও পাপিয়া বারিকের নাম।
২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার (Vote Result) দিন বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিজিৎকে খুন করে। এদিকে মৃত বিজেপি কর্মীর দেহকে ঘিরেও চলেছিল টানাপোড়েন। কম্যান্ড হাসপাতালের মর্গে থাকা দেহ প্রসঙ্গে পরিবারের দাবি ছিল, বিকৃত ওই দেহ অভিজিতের নয়। পুলিশ এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তও হয় অভিজিতের।
আরও পড়ুন- 'আজ CBI ডেকেছিল', প্রাণহানির আশঙ্কায় সিজিও কমপ্লেক্সে অভিজিৎ-র দাদা
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা একাধিকবার অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন। এছাড়াও যে জায়গায় অভিজিতের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গার ভিডিওগ্রাফিও করেছেন তাঁরা। তারপর ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন-BJP কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তর নিয়ে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি NRS-এ
প্রসঙ্গত ১৮ অগাষ্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায়, খুন-ধর্ষণ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের তিন কর্তাকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগেরও তদন্ত করছে। এই ঘটনায় আগে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আর এবার পাঁচজনকে ফেরার ঘোষণা করে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করল সিবিআই।
আরও পড়ুন- শান্তনুর আবেদনে সাড়া কেন্দ্রের, উত্তর ২৪ পরগনায একগুচ্ছ প্রকল্পে সবুজ সংকেত রেলের