সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে আসেন ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত অভিজিৎ সরকারের দাদা। অভিজিৎ খুনের পর তিনিই যে সফট টার্গেট একথা বহু বার বলেওছেন বিশ্বজিৎ সরকার।
'আজ সিবিআই ডেকেছিল', শুক্রবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে (CBI) আসেন ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বেলেঘাটায় মৃত অভিজিৎ সরকারের (Avijit Sarkar) দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। প্রাণহানির আশঙ্কা জানিয়ে এদিন কথা বলেন প্রয়াত বিজেপি নেতার দাদা বিশ্বজিৎ (Biswajit Sarkar)।
শুক্রবার বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, 'আজ সিবিআই ডেকেছিল । আমরা এমএলএ পরেশ পাল এবং ওসি নারকেলডাঙা শুভজিত সেনের নামে শিয়ালদহ কোর্টে অভিযোগ করেছিলাম। সেই কেসে কোর্টে অভিযোগ করার সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে সিবিআই আসতে বলেছিল। এবার ওনারা দেখবেন। যে কপিটা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছিলাম সেটাই ওনাদের দিয়ে গেলাম।' উল্লেখ্য, অভিজিৎ-র দাদা বিশ্বজিৎ যদিও এই মামলায় বরবরাই নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং তদন্তের গতিপথ ঘোরানোর দাবি তোলেন। অভিযুক্ত এসআই রত্না সরকারকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন বিশ্বজিৎ। অভিজিৎ খুনের পর তিনিই যে সফট টার্গেট একথা বহু বার বলেওছেন।
আরও পড়ুন, Farm Law:'এটা তোমাদেরই জয়', কৃষি আইন বাতিল ঘোষণার পরেই কৃষকদের শুভেচ্ছা, BJP-কে তোপ মমতার
এদিকে নির্বাচন পেরিয়ে উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেও রাজ্যের একের পর এক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে।পূর্ব মেদিনীপুরে খুন হওয়া চন্দন মাইতি এবং বিজেপি কর্মী ভাষ্কর বেরাকে খুনের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক খুনের অভিযোগে সামনে আনেন শুভেন্দু। শুধু খুনই নয়, মহিলা নির্যাতন বা ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যে যে রাজনৈতিক খুন অব্যাহত, এবিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিবৃতি পেশের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষ করে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সঙ্গে তার নামের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু একের পর এক কেন্দ্রে হেরে যায় বিজেপি। ত্রাসে এখনও ঘর ছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিজিৎ-র দাদা।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগেই অভিজিৎ সরকার তীব্র আর্তনাদের স্বরে ভেজা চোখে জানিয়েছিলেন,আমার বাড়ি, অফিস, এনজিও সব ভেঙে দিচ্ছে। এমনকি ৫ টা বাচ্চা সহ কুকুরকেও ছাড়া হয়নি। পিটিয়ে মেরে দিল, ওরা কি মানুষ। সেই চরম অত্যাচারের কথা ফেসবুক থেকে জানিয়েছিলেন অভিজিৎ। এরপরেই স্বপন সমাদ্দার-পরেশ পালের নের্তৃত্বে নারকেল ডাঙা পুলিশের সামনে তার বাড়ি, অফিস, এনজিও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিৎ। তিনি আরও বলেন,' যে জিতুত, রাজনৈতিক দিকথেকে আমার কোনও আপত্তি নেই। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফেলেছে, বলে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।' এদিকে তারপর রাতারাতি খুন হয়ে গিয়েছেন অভিজিৎ।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে