সংক্ষিপ্ত
ভোটপরবর্তী হিংসাকাণ্ডে বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে তলব করল সিবিআই।
ভোটপরবর্তী হিংসাকাণ্ডে বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে তলব করল সিবিআই। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরের দিনই মৃত্যু হয়েছিল, বেলেঘাটার বিজেপির কার্যকতা অভিজিৎ সরকারের। অভিজিতের পরিবার সরাসরি বেলাঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। এবার সেই ঘটনায় পরেশ পালকে তলব করল সিবিআই। বুধবার তাঁকে সিবিআই-র নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে।
একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরের দিনই বেলেঘাটার বিজেপির কার্যকতা অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয় ।কেউ বা কারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর তাঁর পরিবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সিবিআই তদন্তের আেদন জানান তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। ভোটপরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই সেই তদন্তভার গিয়ে পড়ে সিবিআই-র উপর। মৃত অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ বারবার অভিযোগ করেন, এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেলেঘাটার সেই বিধায়ক পরেশ পাল এবং কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে তলব করা হয়নি সিবিআই-র তরফে বা তাঁদের গ্রেফতারও করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগেই অভিজিৎ সরকার তীব্র আর্তনাদের স্বরে ভেজা চোখে জানিয়েছিলেন,আমার বাড়ি, অফিস, এনজিও সব ভেঙে দিচ্ছে। এমনকি ৫ টা বাচ্চা সহ কুকুরকেও ছাড়া হয়নি। পিটিয়ে মেরে দিল, ওরা কি মানুষ। সেই চরম অত্যাচারের কথা ফেসবুক থেকে জানিয়েছিলেন অভিজিৎ। এরপরেই স্বপন সমাদ্দার-পরেশ পালের নের্তৃত্বে নারকেল ডাঙা পুলিশের সামনে তার বাড়ি, অফিস, এনজিও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিৎ। তিনি আরও বলেন,' যে জিতুত, রাজনৈতিক দিকথেকে আমার কোনও আপত্তি নেই। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফেলেছে, বলে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।' এদিকে তারপর রাতারাতি খুন হয়ে যান অভিজিৎ।
আরও পড়ুন, জলের পাইপ ফেঁটে দিন শুরু, এবার ভাঙা পড়বে বাড়ি, কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়ে বউবাজারবাসী
আরও পড়ুন, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিডে আক্রান্ত কতজন ? শহরে 'হটস্পট' চিহ্নিত করে কড়া নজরদারি পুরসভার
উল্লেখ্য, অভিজিৎ-র দাদা বিশ্বজিৎ যদিও এই মামলায় বরবরাই নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং তদন্তের গতিপথ ঘোরানোর দাবি তোলেন। অভিযুক্ত এসআই রত্না সরকারকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন বিশ্বজিৎ। অভিজিৎ খুনের পর তিনিই যে সফট টার্গেট একথা বহু বার বলেওছেন। এই অভিজিৎ সরকারই মূলত ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সঙ্গে তার নামের প্রস্তাব এসেছিল। যদিও শেষ অবধি প্রার্থীপদ পান প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কিন্তু একের পর এক কেন্দ্রে হেরে যায় বিজেপি। ত্রাসে এখনও ঘর ছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিজিৎ-র দাদা।