সংক্ষিপ্ত

  • পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি
  • শুরু হয়ে গিয়েছে বনেদি বাড়ির পুজো প্রস্তুতিও
  • বনেদি বাড়ির পুজো ছাড়া কলকাতার পুজো যেন অসম্পূর্ণ
  • বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়ির পুজো বেশ বিখ্যাত

কৈলাশ থেকে ছেলেপুলে সহ বাপের বাড়ি আসছেন 'মা'। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা।  শরতের মেঘলা আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ ইতিমধ্যেই জানান দিচ্ছে সে কথা। সেই মত সারা বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্বও। থিম পুজোর পাশাপাশি বনেদী বাড়ি গুলি নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে আজও। ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিবছরই মা-কে বরণ করে নেন তাঁরা। কলকাতার ঐতিহ্যশালী বাড়ি গুলির মধ্যে অন্যতম হল ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়ির পুজো। ১৭৭০ সাল থেকে চলে আসছে এই বাড়ির পুজো।   

আরও পড়ুন নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ

উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে লাল রং-এর বাড়ি। বাড়ির নাম রামদুলাল নিবাস। গেটের মূল থামে ফটকের ওপর লেখা রামদুলাল দে, সঙ্গে লেখা আরও দুই নাম ছাতুবাবু ও লাটুবাবু। রামদুলাল দে দিন মজুরের পরিবার থেকে নিজের যোগ্যতায় উঠে এসে তিনি অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি অর্জন করেছিলেন প্রভূত সম্মান। আমেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি, এই ভাবেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার প্রথম কোটিপতি ব্যবসায়ী। তিনিই প্রথম এই বাড়িতে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো। তাঁর মৃ্ত্যুর পর দুই ছেলে আশুতোষ দে এবং প্রমথনাথ দে পরিবারের এই পুজো চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবার মতো তাঁরাও ছিলেন শৌখিন। আগে এখানে পুজোয় নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হত। এছাড়া বসত নাচের আসর, যাত্রাপালা তবে এখন আর সেসব কিছুর চল নেই। এখানে প্রতিমার পাশে থাকে তাঁর দুই সহচরী জয়া-বিজয়ার মুর্তি, সিংহের বদলে থাকে ঘোড়া। প্রতিমার হাত এখানে খালি। আখ, চালকুমড়ো ও শসা বলি হয় এখানে, আগে পাঁঠা বলি হত। ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়িতে পুরোহিতের সাহায্যে কুমারী পুজো করেন মহিলারা। 

আরও পড়ুন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এবারের ত্রিধারা সম্মিলনীর শারোদোৎসব

থিম পুজোর ছেড়ে বাড়ির পুজোর স্বাদ নিতে হলে আপনাকে আসতে হবে ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়ির পুজোতে। বাড়িটির ঠিকানা হল- ৬৭, ই, গিরীশ পার্ক, মানিকতলা, দর্জিপাড়া, কলকাতা-৬।