সংক্ষিপ্ত

 

  •  বালকের মৃত্য়ু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল বাঘাযতীন এলাকায়
  • পড়াশোনা নিয়ে প্রায়ই রোহনকে বকাবকি করা হত 
  •  না মানতে পেরে মায়ের শাড়ি জড়িয়ে আত্মঘাতি হয় রোহন 
  • পুলিশের  অনুমান, মানসিক অবসাদেই সে আত্মহত্যা করেছে


বছর বারোর বালকের মৃত্য়ু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন এলাকায়। পড়াশোনা নিয়ে প্রায়ই বকাবকি, মেনে নিতে না পেরে মায়ের শাড়ি জড়িয়ে আত্মহত্য়া করল ওই বালক। মঙ্গলবার রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ওই মৃত বালক রোহন রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর  তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের জন্য়ই রোহন আত্মহত্যা করেছে।

দক্ষিণ কোলকাতার নাকতলা হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হল রোহন। প্রায়শই রোহনকে নাকি বকাবকি করার পাশাপাশি পড়াশোনায় ভাল দাদার সঙ্গে যেকোনও বিষয়েই তুলনা টানা হত। পারিবারিক ও প্রতিবেশী সূত্রে খবর, সম্প্রতি রোহনকে তাঁর স্কুলের থেকে পড়াশোনা নিয়ে বকাবকি করা হয়েছিল। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানায়। তারপর মঙ্গলবার রাতে, রোহনকে বকাবকি করে তার বাড়ির লোকজন। আর সেই আওয়াজ পাড়ার লোকরাও শুনতে পায়। 

তারপরই বাড়ির দোতলার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় রোহন। মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ রোহনের মা-বাবা উপরের ঘরে ছেলেকে ডাকতে আসেন। অনেকবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও ছেলের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্য়ে শেষমেষ দরজা ভাঙেন,রোহনের মা-বাবা। তারপরেই তারা তাদের ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুতই  রোহনকে বাঘাযতীন হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।