সংক্ষিপ্ত
লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা ভাষা। লন্ডনের ট্রান্সফোর্ড ফর লন্ডন অথরিটির (টিএফএল) পক্ষ থেকে এই স্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে দূরত্ব কয়েক শত সহস্র মাইল। সেই সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে রানির দেশ (London) অবস্থিত। আর সেখানেই এবার গুরুত্ব দেওয়া হল বাংলা ভাষাকে (Bengali Language)। দাবি ছিল অনেক দিনেরই। এবার সেই দাবি মেনেই লন্ডনের বুকে অবস্থিত হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের (Whitechapel Metro Station) সাইনবোর্ড দখল করে নিল বাংলা ভাষা। ১০ মার্চ থেকে পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এই মেট্রো স্টেশনের নাম এবার লেখা হল বাংলায়। আর সুদূর লন্ডনের মেট্রো স্টেশনের নাম বাংলায় হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ডে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা ভাষা। লন্ডনের ট্রান্সফোর্ড ফর লন্ডন অথরিটির (টিএফএল) পক্ষ থেকে এই স্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেট্রো স্টেশনের নাম লেখা রয়েছে গোটা গোটা বাংলা অক্ষরে। উপরে স্টেশনের নাম লেখা ইংরাজিতে। ঠিক তার নিচেই বাংলায় লেখা প্ল্যাটফর্মের নাম। আবার তার সঙ্গে লেখা স্বাগতম। এর জন্য টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচন দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে হাতেখড়ি, ২৩য়ের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে কেজরিওয়ালের দল
টুইটারে মমতা লেখেন, "এটা গর্বের সঙ্গে বলার বিষয়। লন্ডনের টিউব রেল হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনে নাম লেখার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্বের কাছে হাজার বছরের পুরনো একটি ভাষার গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।"
আরও পড়ুন- 'আজ দেশের মধ্যে ফসল উৎপাদনে শীর্ষে বাংলা', নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা মমতার
আসলে লন্ডনের এই অংশে বাস করেন বহু বাঙালি। ভারতে ব্রিটিশ শাসনে থাকার সময় থেকেই লন্ডনের এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন বাঙালিরা। বর্তমানে এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষই হল বাঙালি। ইংল্যান্ডের অধিকাংশ বাঙালিই থাকেন এই অঞ্চলে। দীর্ঘদিন বসবাস করতে করতে এখন তাঁদের অনেকেই হয়তো সে দেশের নাগরিক হয়েছেন। তবে ভোলেননি বাঙালিয়ানা। এমনকী, ওখানে এমন অনেক দোকান রয়েছে যার নাম লেখা রয়েছে বাংলায়। আর সেই কারণেই প্রবাসী বাঙালিদের সম্মান জানানোর জন্যই লন্ডন সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলা ভাষা, বাঙালিয়ানার গুরুত্ব যে স্বীকৃত হচ্ছে রানির দেশেও, সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মমতা। আর এই স্টেশনের নাম বাংলায় লেখার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। এর নেপথ্যে যে প্রবাসী বাঙালিরা রয়েছেন তা অবশ্য বলাই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "লন্ডনে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, আর এদেশে বাংলা-নয় হিন্দিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।"