সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৌতম আদানির বৈঠক প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। একটি সূত্রের খবর রাজ্যে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই  এদিন নবান্নে হাজির হয়েছিলেন বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানি।

নবান্নে (Nabanna) শিল্পপতি গৌতম আদানির (Goutam Adani) সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের শিল্প সম্প্রসারণে ও ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধে নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন বলেও সূত্রের খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে গৌতম আদানি জানিয়েছেন এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন আগামী বছর এপ্রিল মাসে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটেও তিনি যোগ দেবেন। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৌতম আদানির বৈঠক প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। একটি সূত্রের খবর রাজ্যে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই  এদিন নবান্নে হাজির হয়েছিলেন বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানি। একটি সূত্র বলছে এই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। 

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বুধবার অর্থাৎ গতকালই মুম্বইয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে  শিল্পপতিদের রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য শিল্প সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তার মুম্বই সফরের একদিন পরেই নবান্নে পা রাখলেন এশিয়ার তথা ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের শিল্প মহল। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ আগামী এপ্রিমে বেঙ্গেল বিসজেন সামিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী মোদীও বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সম্মিত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আসন্ন বিজনেস সামিটে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির উপস্থিত থাকা এই রাজ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও  মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র দল বা সংগঠনের বিস্তারেই মনোনিবেশ করছেন এমনটা নয়। সংঠনের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিল্প মানচিত্রেও রাজ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। টাটাদের কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যে শিল্প বিরোধী তকমা তিনি পেয়েছিলেন তা এবার দূর হবে বলেও আশা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশ। যা এই রাজ্যের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা করেছেন দলের কর্মীরা। 

২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই গৌতম আদানির সম্পত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ১৮ মার্চ ২০২০ সালে আদানির সম্পত্তির নেট মূল্য ছিল ৪.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০ মাসের মধ্যে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের তুলনায় ১৮০৮ শতাংশেরও বেশি। তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে মুকেশ আম্বানি। তাঁর মোট বেড়েছে মাত্র ২৫০ শতাংশ। 

ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্সের সূচক অনুযায়ী বাজার মূলধনের ভিত্তিতে কয়েক সপ্তাহ আগে আম্বানিদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ১০০ কোটি ডলার। যেখানে আদানিদের  সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। যা মুকেশ আম্বানিদের তুলনায় আড়াই শতাংশ কম। বুধবার রিলায়েন্সের শেযার ১.৭২ শতাংশ পড়ে য়ায়। সেখানে আদানি গোষ্ঠীর সমস্ত শেযারের দাম বেড়েছে। তাতেই গৌতম আদানি মুকেশ আম্বানির থেকে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিতে পেরেছেন।

Goa TMC: নতুন টার্গেট তৃণমূলের, অভিষেক-মমতার গোয়া সফরে বদলে যেতে পারে রাজনৈতিক সমীকরণ

TMC: 'সংসদকে বদ্ধ ঘর হতে দেব না' তৃণমূল কংগ্রেসের নিশানায় বিজেপি

Work From Home: কাজের বাইরে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শাস্তির খাঁড়া, পাশ হল নতুন আইন