ভারতীয় ফুটবলে যুগের অবসান প্রয়াত কিংবদন্তি কোচ ও ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সমবেদনা জানালেন পরিবারকেও  

'তোরা কি আমার মৃত্যু চাস?' তাঁর 'ভোকাল টনিক'-এই কার্যত অসাধ্য সাধন করে ফেলতেন ফুটবলাররা। প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি কোচ ও ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে টুইট করে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ভারতীয় ফুটবলে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিস্মরণীয় অবদান কেউ কোনওদিন ভুলতে পারবে না। আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি।'

আরও পড়ুন: ফুটবলারদের কাছে তিনি ছিলেন বন্ধু, তাঁর 'পেপ টকের' জন্য মুখিয়ে থাকতেন সকলে

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল কিংবা মহামেডান, কলকাতা ময়দানে তিন বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপাননি তিনি। খেলতেন ইস্টার্ন রেলের হয়ে। স্রেফ প্রতিভার জোরেই পাঁচ ও ছয়ের দশকে ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন ও ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ভারতের জার্সি গায়ে খেলেছেন তিনটি এশিয়ান গেমসেও। শুধু কি তাই? খেলার ছাড়ার পর সাতের দশকে গোড়ায় ময়দানে কোচিং করানো শুরু করেন পিকে। কয়েক দশকের কোচিং কেরিয়ারেও তাঁর সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। ভারতীয় ফুটবলের সফলতম কোচের নাম পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বয়েসের কাছে হার মানতে হয়েছিল প্রবাদপ্রতিম এই কোচ ও ফুটবলারকে।

আরও পড়ুন: 'স্বাস্থ্য় সচেতন কোচ ছিলেন পিকে', করোনা আতঙ্কে শেষ যাত্রায় ভিড় কমানোর পরামর্শ মন্ত্রীর

বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা তো ছিলই, দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুর সমস্যায়ও ভুগছিলেন পিকে। হাঁটাচলাও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত ২১ জানুয়ারি অসুস্থতা এতটাই বাড়ে যে, তাঁকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। সেবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু দিন পনেরো পর ফের অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। এবারের ধাক্কাটা আর সামলাতে পারলেন না পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। টুইট করে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…