সংক্ষিপ্ত
- বড়দিনে উৎসবের আমেজ কলকাতায়
- সেজে ওঠেছে শহরের গির্জাগুলি
- মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়
- মধ্যরাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনায় সামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী
রাত পোহালেই বড়দিন। উৎসবের আমেজ কলকাতায়। প্রতিবারের মতো এবার ক্রিসমাস ইভে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল চার্চে। সূ্ত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে সেই প্রার্থনায় সামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই বড়দিনের আগের রাতে শহরের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় এই গির্জায় প্রার্থনায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বড়দিনের কড়া নিরাপত্তা, শহর জুড়ে ৫০০০ পুলিশের টহল
আরও পড়ুন: পাহাড় কোলে বড়দিন, সেজে উঠল দার্জিলিং-এর গ্লেনারিজ
একসময়ে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। ঔপনিবেশিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ এই শহরে গির্জার সংখ্যা কম নয়। প্রতিবছর বড়দিনের আগে আলোকমালায় সেজে ওঠে গির্জাগুলি। ক্রিসমাস ইভ-এর সন্ধ্যায় শহরের বিভিন্ন গির্জায় ভিড় করেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার রাত দশটায় দর্শনার্থীর জন্য খুলে দেওয়া হবে সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল চার্চ। রাত ১২টা থেকে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল পর্যন্ত চলবে বিশেষ প্রার্থনা। সাধারণ মানুষ তো বটেই, প্রতিবছরই সেন্ট পলস চার্চের মধ্যরাতের বিশেষ প্রার্থনার যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার অন্যথায় হবে না। সূত্রের খবর তেমনই। উল্লেখ্য, বড় দিন উপলক্ষ্যে গত শনিবার বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেন্ট্র পলস ক্যাথিড্রালে। অনুষ্ঠানে ধ্বনিত হয়েছিল 'বন্দেমাতরম'। খুদে পড়ুয়াদের কণ্ঠে দেশাত্ববোধক গান প্রশংসা কুড়িয়েছিল সকলেরই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে দিয়েছিল ভিডিও।
কলকাতার সবচেয়ে পুরনো ও বড় গির্জা হল সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল। ১৮১৯ সালে এই গির্জা তৈরি পরিকল্পনা করেন বিশপ মিডলটন। গির্জার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৮৩৯ সালে। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৮ বছর। ১৮৪৭ সালে গির্জা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।