সংক্ষিপ্ত
- হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
- টুইট করে সমবেদনা নির্যাতিতার পরিবারকে
- নাম না করে বিজেপিকেও কটাক্ষ করলেন তিনি
- মঙ্গলবার দিল্লিতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার
'নৃশংস ও ন্য়াক্কারজনক ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা নেই।' উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এবার টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে কার্যত তুলোধনা করলেন বিজেপিকেও।
আরও পড়ুন: পুলিশের মানবিক মুখ, এককালীন এক লক্ষ আর্থিক সাহায্য দুই মাতৃহারা শিশুকে
মানুষ এত নৃশংস হতে পারে! উত্তরপ্রদেশের হাথরাস শহরে বছর কুড়ির দলিত তরুণীর পরিণতিতে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর চরম বর্রতার শিকার হন ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, চারজন উচ্চবর্ণের যুবক ধানক্ষেতে তুলে নিয়ে তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। এরপর টানা এগারো দিন ধরে যমে-মানুষের টানাটানি চলে উত্তরপ্রদেশেরই হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার শেষপর্যন্ত ওই তরুণীকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে মারা যান নির্যাতিতা।
বুধবার রাতে যখন গ্রামে পৌঁছয় ওই তরুণীর দেহ, তখন বড় রাস্তায় অ্য়াম্বুল্যান্স দাঁড় করানো হয়। বাড়ির না নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সেরে ফেলে পুলিশ। অথচ পরিবারের লোকেরা কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত মেয়ে দাহ করবেন না। চাপের মুখে পরে জানানো হয়, হিন্দু রীতি মেনে সকালে দেহ দাহ করা হবে। কিন্তু যোগী রাজ্যের পুলিশ তাতেও কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে মৃতার পরিবারকে সমবেদনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, 'কিছু মানুষ আছে যারা, ভোটের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর স্লোগান দেয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই জোর করে তরুণীর দেহ সৎকারের ঘটনা তাদের স্বরূপ প্রকাশ্যে এনেছে।'
এদিকে এই ঘটনার উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। দাবি উঠেছে মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগেরও। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ভীম আর্মির সদস্যরা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন তাঁরা।