সংক্ষিপ্ত
বর্ষা ছাড়াও গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিনই জলের তলায় তলিয়ে যায় বহু জমি। মাঝে মধ্যেই নদী পাড়ে ভাঙন জেখা যায়। এর ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী।
মালদহের (Malda) পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ভাঙন একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত বর্ষার সময় নদীর ভাঙন (River Erosion) অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময় চোখের নিমেষে নদী গর্ভে তলিয়ে যায় গ্রাম, গৃহস্থের বাড়ি। এনিয়ে আগেও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এবার ভাঙন রুখতে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি দিলেন তিনি।
বর্ষা ছাড়াও গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিনই জলের তলায় তলিয়ে যায় বহু জমি। মাঝে মধ্যেই নদী পাড়ে ভাঙন জেখা যায়। এর ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার ভাঙন রুখতে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তিনি। গতকাল নবান্নের তরফে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আরও পড়ুন- বিধবার আবাস যোজনার টাকা হাতানোর অভিযোগ, দুয়ারে লুট শ্লোগানে কটাক্ষ বিজেপির
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তিনটি জেলার ভাঙনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং নদিয়া। আর এই ভাঙনের জন্য নদীর গতিপথ বদলকেই দায়ী করেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের প্রভাব পড়েছে নদীর গতিপথে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই জলসম্পদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছিল। যাতে নদীর পাড়ের ক্ষয় রোধ করা যায়। ২০১৭ সালে এই ক্ষমতা পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় সরকার। যা কেন্দ্রের তরফে একতরফা ভাবে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- আনিসকাণ্ডে নয়া মোড়, ছাত্রনেতার বাড়িতে নাকি গিয়েছিল পুলিশই, সাসপেন্ড আমতা থানার ৩ কর্মী
এর আগেও এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। ২০১৭ সালের ২৫ মে-তে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন, নদী ভাঙন রুখতে ফরাক্কা কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। নদীর পাড়গুলিকে রক্ষা করার জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। আর এবার এই চিঠিতে নদী ভাঙনের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে ২৮০০ হেক্টর উর্বর চাষের জমি ভাঙনের গ্রাসে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে এক হাজার কোটির সম্পত্তির।
আরও পড়ুন- আনিসের মৃত্যু রহস্য ধামাচাপা দিতেই রাজ্যের সিট গঠন-কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ২০১৭ সালে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়নি ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। তাই এবার ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদন জানালেন, ভাঙন রোধে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় জলসম্পদ মন্ত্রক। ভাঙন রোধে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানকে উপযুক্ত দিশায় চালনা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।