সংক্ষিপ্ত

পুরসভা ভোটের দিন কংগ্রেসের প্রার্থীকে  নগ্ন করে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন ১৬ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা।  

পুরসভা ভোটের (KMC Polls 2021) দিন কংগ্রেসের প্রার্থীকে নগ্ন করে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন ১৬ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। বুধবার এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

পুরভোটের রাতে আক্রান্ত হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই তার উপর হামলা চালিয়েছে। প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে মারধরের সেই ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালমিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই বটতলা থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ তিনি লিখেছেন, রাত ১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি লোহাপট্টি এলাকায় জিনিস কিনতে বেরিয়েছিলেন। আচমকাই তাঁকে আক্রমণ করে কিছু যুবক।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, 'বাংলায় গণতন্ত্র নয়, চলছে বর্বর তন্ত্র। একজন মানুষকে জনসমক্ষে নগ্ন করে বেধড়ক পেটানো হল কলকাতার রাজপথে।  তাঁর অপরাধ তিনি কংগ্রেসের হয়ে ভোট দিতে দাঁড়িয়েছেন। ছিঃ দিদি ছিঃ। ধিক্কার।'

অপরদিকে, এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তাপস রায় জানিয়েছেন, 'এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই হওয়া প্রয়োজন। যদি শাসক দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে দল তাঁর ব্যবস্থা নেবে। তাঁর আরও বক্তব্য, এইরকম কোনও ঘটনা যদি ঘটে থাকে, দল তাকে কোনও দিনও অনুমোদন করবে না।'তবে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের একখানি মুখ সেটা যে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং দেড়খানা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর কোন মুখ নেই। ভাবের ঘরে চুরি করা হচ্ছে, তার বেশি হচ্ছে না। সে একটা ভাত টিপলে যেমন বোঝা যায়, ভাত ঠিক হয়েছে কিনা। একটা ভিডিও যথার্থ নয়। তৃণমূল কংগ্রেস একছত্র ক্ষমতায় এসেছে। তারপরও তাঁরা বিভিন্ন রকম বিভিন্ন পার্টির লোক ও মহিলাকে পর্যন্তকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার চালাচ্ছে।   আমরা আগেও বলেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক। সেটাও আবার পুনরাবৃত্তি করা হবে, যে বাকী ভোটগুলো আছে। এই ধরনের ঘটনা, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে একবারই মানানসই নয় সেটা সমস্ত বাংলার মানুষ দেখছে।