সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকার মাদার ডেয়ারির শেয়ার বিক্রে করছে। তারই বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। রাজ্য সরকারের হয়ে সেই মামলাই লড়তে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম।

রাজ্য সরকারের হয় মামলা লড়তে এসে রীতিমত মুখ পুড়ল কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের। মাদার ডেয়ারির হয়ে মামলা লড়তে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই বাধে বিপত্তি। কলকাতা হাইকোর্ট চত্ত্বরে 'গো ব্যাক চিদম্বরম' স্লোগান যেমন ওঠে তেমনই তাঁকে শুনতে হয় 'মমতার দালাল' বা  'তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল'। এক মহিলা আইনজীবী চিদম্বরমের সামনে এজাতীয় স্লোগান দিয়ে প্রথম বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই আরও আইনজীবীরা সেই মহিলা আইনজীবীকে সমর্থন করে এগিয়ে আসেন।

রাজ্য সরকার মাদার ডেয়ারির শেয়ার বিক্রে করছে। তারই বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। রাজ্য সরকারের হয়ে সেই মামলাই লড়তে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম। কিন্তু সেই সময়ই এক মহিলা আইনজীবী তাঁকে দেখে প্রথম স্লোগান দেন। তারপর কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জনের আইনজীবীও সেই বিক্ষোভে সামিল হন। সূত্রের খবর আদালত চত্ত্বরেই চিদম্বরমের কালোকোটও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চিদম্বরমকে ঘিরে এদিন মূলত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস সমর্থক আইনজীবীদের একটি অংশ। অনেকেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, 'আমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দালাল। মাদার ডেয়ারি ঘিরে কোটি কোটি টাকার দূর্ণীতি হয়েছে। আর আপনি মানুষের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকারের হয়ে দালালি করতে এসেছেন?'

এমনিতেই কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব বর্তমানে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এক দিকে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধরা অন্যদিকে গান্ধীদের অনুগামীরা। অধীর রঞ্জন চৌধুরী এখনও গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের মধ্যেই পড়েন। তবে গান্ধীদের পক্ষে কথা বললেও চিদম্বরম জি -২৩ দলের সদস্যের সঙ্গেই সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাই বলা যেতেই পারে কংগ্রেসের দুই নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও একবার আরও একবার প্রকাশ্যে এল কলকাতা হাইকোর্টের সামনে। 

তবে আইনজীবী চিদম্বরমের যখন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন তখন তিনি একেবারের ্ন্যরকম। কারণ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। গোয়াতে কংগ্রেস আর  তৃণমূলের জোট না হওয়ার কারণ অনেকটাই তিনি। কারণ গোয়ায় তৃণমূল , কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের ভাঙিয়ে এনেছিল এই অভিযোগ তুলে জোটের প্রস্তাবেই গুরুত্ব দেননি তিনি।