সংক্ষিপ্ত
- কাল বাইকবাহিনী নিয়ে এসো, বললেন উপাচার্য
- বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে এ কথা বলতে শোনা গেল ভিডিয়োতে
- বিতর্কিত ভিডিয়োটি সামনে রেখে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা
- বিশ্বভারতীর তরফ থেকে অস্বীকার করে বলা হয়েছে, বক্তব্য় উপাচার্যের নয়
"কালকে একটু এসো, তোমাদের বাইকবাহিনী নিয়ে এসো।" বক্তা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী। আর শ্রোতাকে ক্য়ামেরায় ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। যদিও তাদের মধ্য়েই মিশে ১৫ জানুয়ারি বিশ্বভারতী ক্য়াম্পাসে রড আর হকির স্টিক নিয়ে হামলায় জড়িত অচিন্ত্য় বাগদি আর সাবির আলি!
সম্প্রতি এই ভিডিয়োকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্বভারতীর কিছু পড়ুয়া পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ এখনই এফআরআই নিতে রাজি হয়নি, তবে ওই ভিডিয়ো ফুটেজকে সামনে রেখে তদন্ত চলছে।
বিশ্বভারতীতে গত ৮ জানুয়ারি বিজেপির রাজ্য়সভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বক্তব্য় রাখতে আসেন। সেদিন পড়ুয়াদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান বিজেপির সাংসদকে ঘিরে। যার ফলে কার্যত পণ্ড হয় স্বপনবাবুর বক্তৃতা। এদিকে বিশ্বভারতীতে এমন সভা করায় আপত্তি ওঠে আগেই। তার জেরেই সম্ভবত উপাচার্য বুঝতে পারেন যে, ওইদিন বিক্ষোভ দেখাতে চলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। আর সেইজন্য়ই কি তার আগের দিন, এক বিক্ষোভ মিছিলে হাঁটার সময়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কালকে একটু এসো, তোমাদের বাইকবাহিনী নিয়ে।"
ওই ভিডিয়োতে উপাচার্যের মুখে আরও বিতর্কিত কথা শোনা যায়। মিছিলে হাঁটতে থাকা একজন উপাচার্যকে বলেন, "আপনাকে ওদের নাম-ছবি সব পাঠিয়ে দেবো।" তারপরেই ওই ব্য়ক্তিকে বলতে শোনা যায়, "আপনার গ্রিন সিগনাল না-পেলে তো আমরা কিছু করতে পারি না।"
প্রসঙ্গত স্বপনবাবু আসার দিন যে বিক্ষোভ হয়, তারই শোধ তুলতে ১৫ জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ক্য়াম্পাসে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে এবিভিপিতে যাওয়া এক ছাত্র। ওই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অচিন্ত্য় বাগদি ও সাবির আলিকে। ওই দুজনকেই সেদিনের ভিডিয়োতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা যায় (এশিয়ানেট ওই ভিডিয়োর সত্য়তা যাচাই করেনি)। পড়ুয়াদের অভিযোগ, "আমরা বলেছিলাম, আমাদের ওপর শোধ তুলতেই এই হামলা চলেছিল উপাচার্যের মদতে। আজ সেটাই প্রমণিত হল।" যদিও উপাচার্য নিজে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, "ওই ভিডিয়ো বিকৃত করা হয়েছে। উপাচার্য এমন কোনও কথা বলেননি। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের বদনাম করার জন্য়ই এই প্রচার চলছে।"