সংক্ষিপ্ত
- স্বাস্থ্য দফতর আইসোলেশন ওয়ার্ড নিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে
- নির্দেশিকা না মেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার অভিযোগ
- কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতাল নির্দেশিকা মানেনি
- এম আর বাঙুর, এনআরএস হাসপাতালও রয়েছে সেই তালিকায়
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা না মেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার অভিযোগ উঠল শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন ওই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির পাশাপাশি জেলা হাসপাতালগুলিতেও শুধু আইসোলেশন ওয়ার্ড নিয়ম মেনে খুলতে হবে। সেই ওয়ার্ড কেমন হবে, রোগীদের কী ভাবে রাখতে হবে, নোভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিং-এ করোনা উপস্বর্গ যুবকের, মুহূর্তেই হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আইসোলেশন ওয়ার্ড হবে হাসপাতালের এমন জায়গায়, যেখানে অন্য রোগীরা সংক্রমণের শিকার হবেন না। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ড যেমন হওয়ার কথা, তা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সার্জারি ব্লকের একতলায় মেল অবজারভেশন ওয়ার্ড লাগোয়া একটি ঘরে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় তৈরি শহরের আরও এক হাসপাতাল, এসএসকেম-এ চালু হবে আইসোলেশন ওয়ার্ড
অপরদিকে, একই ঘটনা দেখা যাচ্ছে এম আর বাঙুর হাসপাতালেও। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবার ভগ্নস্তূপের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। এনআরএস সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ পাওয়ার পরে সেই বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত রেখে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, বায়ুবাহিত রোগ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনা উপস্বর্গে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ১৬০৬ জন যাত্রীকে চিহ্নিত করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'আমি নিয়মিত তোমাদের খেলা দেখি', নারীদিবসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা মমতার