সংক্ষিপ্ত

চোরাচালান রুখতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আগের থেকে অনেক বেশি তৎপরতা বাড়িয়েছে। কিন্তু তারপরেও ঠেকানো যাচ্ছে না পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। এমতাবস্থায় এবার ফের সীমান্তে বিএসএফের কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও ফের একবার সক্রিয় হতে দেখা গেল সোনা পাচারকারীদের।

করোনাকালে গত বছরের শুরু থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে(Indo-Bangladesh border) অনেকটাউই বেড়ে গিয়েছিল পাচারকারীদের রমরমা। চোরাচালান রুখতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী(Border Security Force) আগের থেকে অনেক বেশি তৎপরতা বাড়িয়েছে। কিন্তু তারপরেও ঠেকানো যাচ্ছে না পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। এমতাবস্থায় এবার ফের সীমান্তে বিএসএফের কড়া নিরাপত্তা(BSF tight security at the border) সত্ত্বেও ফের একবার সক্রিয় হতে দেখা গেল সোনা পাচারকারীদের। ঘটনার কেন্দ্রস্থল এবার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার(Swarupnagar Police station of Basirhat) ভারত-বাংলাদেশের গাবরডাহ্ সীমান্ত। সূত্রের খবর, বিএসএফের(BSF) ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে এদিন টহলের সময় সন্দেহজনক অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮১১ টাকা মূল্যের দুটি সোনার বিস্কুট(Golden biscuits)। যার ওজন ২৩২.৫১ গ্রাম।

বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শ্যামসুন্দর অধিকারী। সে সীমান্ত পার্শ্ববর্তী সরফরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মোবাইল ফোন, একটি ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, ১২০০ টাকার নগদ ভারতীয় মুদ্রা সহ একটি পুরনো সাইকেল। সীমান্ত এলাকায় তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে প্রথমে আটক করে বিএসএফ জওয়ানেরা। এরপরই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে শ্যামসুন্দর। পুলিশি জেরায় সে সাফ জানায় জানায় ভাদুড়িয়ার বাসিন্দা চন্দন দফাদার ও বলাই মন্ডলের মদতে এই সোনাগুলো সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করিয়েছে। এরপর এই সোনার বিস্কুটগুলি শায়েস্তানগরের বাসিন্দা হাফিজুল দফাদারকে হস্তান্তর করার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কাজে আসে। তার আগে বিএসএফ-র জালে ধরা পড়ে গিয়ছে সে।

আরও পড়ুন- করোনা আবহে উদ্বেগ বাড়ছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে, মারণ ভাইরাসের কবলে বহু চিকিৎসক

এদিকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া সামগ্রী গুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে ধৃত সোনা পাচারকারীকে স্বরূপনগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিনই ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালেতে তোলা হচ্ছে। তবে বিএসএফের কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে কিভাবে এই বিপুল পরিমান সোনা নিয়ে সে এই দেশে প্রবেশ করালো তাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে প্রশাসনের কপালে। এদিকে সীমান্ত লাগোয়া স্বরূপ নগরে বরাবরই পাচারকারীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিমাসে এখান থেকে বিভিন্ন জিনিস পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারও হন অনেকে। তবে পুলিশের নাগাল এড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া গলে রমরমিয়ে পসার জমিয়ে বসতেও দেখা গিয়েছে অনেক পাচারকারীকেই। সেটাই এখন সবথেকে বেশি চিন্তার প্রশাসনের।