সংক্ষিপ্ত
সোমবার সকাল ছটা থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ভারত বনধ। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বাংলায় এই বনধের বিশেষ প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে তেমন কোনও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি রাজ্যে। যদিও এই বনধে সমর্থন করেছে সিপিএম।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha) বা এসকেএমের ডাকে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সোমবার দেশ জুড়ে ভারত বনধের (Bharat Bandh on September 27) ডাক দেওয়া হয়েছে। ১০ ঘণ্টার এই ধর্মঘটে (10-hour strike) বেশ কয়েকটি অবিজেপি দলকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। সোমবার সকাল ছটা থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ভারত বনধ। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বাংলায় এই বনধের বিশেষ প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে তেমন কোনও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি রাজ্যে। যদিও এই বনধে সমর্থন করেছে সিপিএম (CPIM)।
কৃষক বিরোধী কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল করার দাবি ও শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বাতিল করার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আজ পথে নেমেছে সিপিএম। সেই মতো আজ সকালে যাদবপুর ৮বি (jadavpur 8B) থেকে গোটা এলাকায় মিছিল করেন সিপিএম কর্মীরা। তারপর আজকের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে যাদবপুরে একটি সমাবেশ করেন তাঁরা। এছাড়া ধর্মঘটের সমর্থনে এক পাশের রাস্তা আটকে ফুটবল (Football) খেলতেও দেখা গিয়েছে বাম যুব কর্মীদের।
আরও পড়ুন- দেশ জুড়ে চলছে বনধ, ট্রেন থেকে সড়ক যোগাযোগে সচল বাংলা
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে জারি রয়েছে কৃষকদের আন্দোলন (Farmers Protest)। প্রথম থেকেই কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার দাবি করে চলেছেন। আন্দোলনরত কৃষকদের আশঙ্কা, বিভিন্ন কৃষিপণ্যের জন্য তাঁরা যে এতদিন সরকারের বেঁধে দেওয়া 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য' (MSP) পেতেন, এই তিনটি আইনের ফলে সেই নিশ্চয়তা আর থাকবে না। যার ফলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- পুলিশের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অধ্যাপকের গাড়ির ধাক্কায় পা ভাঙল পরীক্ষার্থীর
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়ন করে এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ভূমিকাকে খর্ব করে এই আইনগুলি কৃষকদের নানান সুবিধা দেবে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ কৃষকরা। এনিয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন কৃষক নেতারা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তার কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। কৃষকদের হুঁশিয়ারি, এই তিনটি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক যোগ দিয়েছেন এই আন্দোলনে।
আরও পড়ুন- নির্বাচনের আগে পরপর বোমাবাজিতে উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জ, মোতায়েন রয়েছে পুলিশ
এদিকে এই পরিস্থিতিতে বনধ মোকাবিলায় তৎপর কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। কলকাতা জুড়ে ৬০টি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে বনধ সমর্থনকারীদের ঠেকাতে। এই আবহে প্রত্যেক থানাকে এলাকায় ঘনঘন টহলদারি করতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে। জোর করে বনধ সফল করতে গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রবিবার প্রচার মঞ্চ থেকে বনধকে সমর্থন না করলেও ইস্যুকে সমর্থমন করেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেও বাংলায় বনধ বিরোধী যে অবস্থান তাঁর সরকার নিয়েছে, তাতে অনড় থাকবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। আমরা তাদের সমর্থন করছি। তিনটি বিল প্রত্যাহার করতে বলছি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বনধ সমর্থন করি না। তবে ইস্যুকে সমর্থন করছি।"