সংক্ষিপ্ত
'নরেন্দ্র মোদীকে একমাত্র হারাতে পারেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই',ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার হয়ে প্রচারে গিয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। 'ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করবে', কয়লাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ।
'নরেন্দ্র মোদীকে (PM Modi) একমাত্র হারাতে পারেন (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই',ভবানীপুর উপনির্বাচনে (Bhabanipur By Election 2021) মমতার হয়ে প্রচারে গিয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। 'ইডি-সিবিআই (ED-CBI) আমার কাঁচকলা করবে', কয়লাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ।
আরও পড়ুন, Prashant Kishor: 'পিকে ভবানীপুরের ভোটার, বাংলার মেয়ে কি তবে বহিরাগত চায়', তোপ BJP-র
উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় ভবানীপুরের উপনির্বাচন। আর তার আগে জোরদার প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। একদিকে ভবানীপুরের উদ্দেশ্য মমতা যখন বলছেন, ভবানীপুরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন তিনি। অপরদিকে মমতার হয়েছে প্রচারে গিয়ে কয়লাকাণ্ডের কালি সরাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন তিনি ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে বলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে একমাত্র হারাতে পারেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে না পেরে এখন বহিরাগত এজেন্সি পাঠাচ্ছে। ৫০০ এজেন্সি পাঠালেও মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। এরপর কয়লাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ দেখিয়ে তিনি বলেছেন, কত নোটিশ পাঠাবেন ,পাঠান। এখনও পর্যন্ত আমাকে ৫ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাঠাতে পাঠাতে কাগজ-কালি শেষ হয়ে যাবে। তবু জেরা শেষ হবে না। 'ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করেছে, কাঁচকলা করবে।'
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কয়লাকাণ্ড নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের আবেদন, ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ দিক আদালত। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁদের। কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে আগেই ইডি-কে চিঠি দিয়েছিলেন রুজিরা। দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরিবর্তে কলকাতায় এসে যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তা চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, 'বাড়িতে ২টি সন্তান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।'৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার দুদিন পরে, ৮ সেপ্টেম্বর ফের অভিষেককে ডেকে পাঠায় ইডি। যদিও অভিষেক বলেন, এত কম সময়ে সমস্ত নথি ও তথ্য নিয়ে তাঁর পক্ষে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তারপর ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের সমন পাঠিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়। তারপরই সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক ও রুজিরা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা