সংক্ষিপ্ত
- মেয়েকে যৌন-ক্রিয়ায় বাধ্য করায়, বাবা-মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
- পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাংরার বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে হয় ২০১২ সালে
- অভিযোগ, শপিংয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়
- সেখানে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে এক অপরিচিত যুবক ধর্ষণ করে
মেয়েকে যৌন-ক্রিয়ায় বাধ্য করার অভিযোগে বাবা-মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রথমবার বেড়াতে যাওয়ার নাম করে নিজের মেয়েকে মাদক খাইয়ে এক অপরিচিতের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করায়। অভিযোগ, তারপর সেই বিকৃত ঘটনার ভিডিয়ো দেখিয়ে বছরের পর বছর ব্ল্যাকমেলিং করে নিজেদের মেয়েকে যৌন-ক্রিয়ায় বাধ্য করত বাবা-মা। ট্যাংরা থানায় নিগৃহীতা অভিযোগ করেছেন তাঁর বোন, বউদি-সহ অন্তত ১৫ জনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, নার্সের বুদ্ধিতে আগুন থেকে বাঁচলো ১৯ জন শিশু, চাঞ্চল্য় ফুলবাগানের শিশু হাসপাতালে
পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাংরার বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে হয় ২০১২ সালে। তাঁর ছয় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। স্বামী সামান্য বেতনে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও এখন কলকাতায় ভাড়া থাকেন। নিগৃহীতা তরুণীর অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে শপিংয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে শিয়ালদহের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অচৈতন্য করে এক অপরিচিত যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণীর অভিযোগ , সেই ধর্ষণের ঘটনা ভিডিয়ো করে রাখা হয়। তারপর থেকে লাগাতার সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই তরুণীকে যৌন-ক্রিয়ায় বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু শিয়ালদহের ওই হোটেল নয়, পদ্মপুকুর রোডের একটি বাড়ি এবং বিভিন্ন সময়ে অন্য হোটেলে নিয়ে গিয়েও তরুণীকে কয়েক বার ধর্ষণ করা হয়। তবে পুরোটাই চলছিল তাঁর বাবা-মা-সহ পরিবারের সদস্যদের মদতে।
আরও পড়ুন, কলকাতার স্ট্রিট ফুড দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ, দাবি ডেপুটি মেয়রের
ট্যাংরা থানায় দায়ের তরুণীর অভিযোগে চমকে গিয়েছেন লালবাজারের কর্তারাও। নজিরবিহীন এমন অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা মঙ্গলবার বলেন,'বিচারকের কাছে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাঁর বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চলছে।' সম্প্রতি রিজেন্ট পার্কেও এক তরুণীকেও ভয় দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর তিন তুতো-ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পাটুলিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক দম্পতিকে। কিন্তু নিজের মেয়েকে জোর করে বছরের পর বছর যৌন-ক্রিয়ায় বাধ্য করা হচ্ছে,মন অভিযোগে রীতিমত বিস্মিত তদন্তকারীরা। তাই এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলার তদন্তভার থানার হাত থেকে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে লালবাজারের মানব-পাচার দমন শাখার হাতে।
আরও পড়ুন, মায়ের উদ্দাম জীবনযাপন গ্রাস করেছিল মেয়েকে,রিয়াও ছিল রমার মতো