সংক্ষিপ্ত
- বুধবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য় বিজেপি
- তাদের দাবি, ডেঙ্গু মুক্ত,জলকর মুক্ত ও জঞ্জাল মুক্ত কলকাতা
- অন্য়দিকে ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্য়ের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট
- ২২ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে
পুরনিগমের ভোট হতে আর বেশি দেরি নেই। তাই ২০২১ -এর বিধানসভা ভোটে জেতার আগে সামনের ২০২০-এর পুরভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। সেজন্য় তারা, তাদের চেষ্টায় কোনও কমতি রাখতে চায়না। আর এই মুহূর্তে ডেঙ্গুই হল বিজেপির ভোটে জেতার অন্য়তম রসদ।
আরও পড়ুন, বুলবুল যেতেই শুষ্ক হাওয়া, রাজ্য়ে তাপমাত্রা কমবে তিন ডিগ্রি
বুধবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য় বিজেপি। তাদের প্রধান দাবি, ডেঙ্গু মুক্ত কলকাতা। তবে পুরনিগমের ভোটে জেতার জন্য় তারই সঙ্গে আছে জমির মিউটেশন কমানো, অবৈধ পার্কিং, জলকর মুক্ত এবং জঞ্জাল মুক্ত কলকাতা। আর এরকমই মোট ১০ টি বড় হাতিয়ার সঙ্গে রেখে আগামিকাল পুরসভা অভিযানে নামবে বিজেপি। অপরদিকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য়ের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য়ে এই মুহূর্তে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্য়া কত, ডেঙ্গুর ফলে কতজনের মৃত্য়ু হয়েছে, ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য় রাজ্য় কী কী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২২ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন, সুজিত ছেড়ে ব্রাত্য ব্রিগেডে মানস, লেকটাউনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্য়ে
মূলত এই মামলাটি ২০১৭ সালের। রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পুরনো মামলাটিকে আবার তুলে আনা যায়। জরুরি শুনানির আবেদনে সোমবার হয় শুনানি হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে, মামলাকারীর আইনজীবীরা রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য জমা দেয়। তাদের বক্তব্য় অনুযায়ী ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য এবং আদালতের দেওয়া গাইড লাইন ঠিকমত পালন করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এই সংক্রান্ত হলফনামা পেশ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আর এরপরই রাজ্যের কাছে ডেঙ্গু নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাইকোর্ট। সবমিলিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে একদিকে বিজেপি অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের চাপের মুখে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার।