সংক্ষিপ্ত
- আলো জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
- মোদীর ডাকে বাজি ফাটায় কিছু অতি উৎসাহী
- যা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল
- যদিও এর মধ্য়ে সমস্যার কিছু দেখছেন না দিলীপ
করোনা যুদ্ধে জয় পেতে আলো জ্বালিয়ে সারা দেশকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর ডাকে বাজি ফাটানো শুরু করে কিছু অতি উৎসাহী কলকাতাবাসী। যা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। যদিও করোনা আতঙ্কের মধ্য়ে বাজি ফাটানোর বিষয়টিকে আনন্দের বহিপ্রকাশ হিসাবেই দেখছেন রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এ যেন জনতা কারফিউয়ের পুনরাবৃত্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধু উদ্যোগেও তাল কাটলেন অতি উৎসাহীরা। বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ, লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়লেন একাংশ।
গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিনও দেখা গিয়েছিল এক ছবি। কাঁসর,ঘণ্টা বাজিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন একদল মোদী ভক্ত। ৫ এপ্রিলও মোমবাতি, প্রদীপ হাতে দেখা মিলল সেই অতি উৎসাহীদের। একেবারে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়লেন তারা। যার জেরে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ল আরও।
করোনা যুদ্ধে জয় পেতে রবিবার রাত ন-টায় ৯মিনিটের জন্য় মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মহাশক্তি জাগরিত করতে এই মূল্যবান ৯মিনিট সময় চাইছেন তিনি। অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরতে এই হবে দেশবাসীকে। এই ৯ মিনিট থেকে করোনার বিরুদ্ধে ১৩০ কোটির ভারতবাসীর মনে সেই শক্তি সঞ্চারিত হবে।
কিন্তু দেখা গেল কিছু অতি উৎসাহীর ভুলে ছন্দপতন ঘটল প্রধানমন্ত্রীর এই সাধু উদ্য়োগ। সোশ্যাল ডিস্ট্য়ান্সিংয়ের বদলে একসঙ্গে পাড়ায় বেরিয়ে পড়েছিলেন এই উৎসাহীরা।
কর্মসূচিতে কেবল আলো জ্বালানোর কথা থাকলেও দেদার বাজি ফাটল কলকাতায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্য়েই ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি। যদিও বিজেপির রাজ্য় সভাপতি বলছেন,প্রধানমন্ত্রী আহ্বান দিলে দেশের কোটি কোটি মানুষ তাতে সাড়া দেন । যারা প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করেছিলেন তারাই এখন কারা বোমা ফাটাল, কারা প্রদীপ জ্বালাল তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন । কারা বোমা ফাটিয়েছ সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে । আর এতে অন্যায়েরই বা কী আছে ? এতদিন মানুষ আতঙ্কে-ভয়ে হতাশ ছিল । তাই একটু আনন্দ করলে বিরোধীদের কষ্ট হচ্ছে কেন ?
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি আরও বলেন, লকডাউন যারা ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । সারা দেশে লকডাউন ঠিকমতো পালন হচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে না । জানি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন । পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে গিয়েছে কোরোনা । এদিকে বিজেপির রাজ্য় সভাপতির এহেন মন্তব্য় নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। দিলীপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্য়ের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,এটা কি আনন্দ করার সময় ! যখন দেশজুড়ে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে এত লোক মারা গেছেন , তখন কি বাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন করার সময় ?