সংক্ষিপ্ত
- উৎসবে লাগাম ছাড়া ভিড় হলে বিপদ হতে আর দেরি নেই
- আশঙ্কা করছে কেন্দ্রের 'ন্য়াশনাল সুপার মডেল কমিটি ফর কোভিড-১৯'
- ওনাম উৎসবের পর কেরলে সংক্রমণ ৩২ শতাংশ
- তাই পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজো নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিকিৎসকেরা
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। যার আবেগ করোনা আবহকেও পারলে হার মানায়। আর সেখানে স্বাস্থ্য ভবন তথা চিকিৎসকদের ঘুম ছুটেছে। ইতিমধ্যেই পরিবহণ স্বাভাবিক পুরোপুরি না হলেও মানুষের ঢল নেমেছে কলকাতা সহ রাজ্যে। আর পুজোয় যদি বাড়াবাড়ি ভিড় হয় সংক্রমণ আটকানো যাবে কী করে, এনিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। আর এমন সময় কেন্দ্রের 'ন্য়াশনাল সুপার মডেল কমিটি ফর কোভিড-১৯', উৎসবে লাগাম ছাড়া ভিড় আর বেপরোয়া মানসিকতা হলে বিপদ হতে আর দেরি নেই।
আরও পড়ুন, পুজোতে লাগাম ছাড়া ভিড়, সংক্রমণে ১৫ জেলায় 'বিপদ সঙ্কেত'
ওনাম উৎসবের পর কেরলে সংক্রমণ ৩২ শতাংশ, দুর্গা পুজোতেও বাড়ল আশঙ্কা
রবিবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নেওটিয়া জানিয়েছেন, চলতি বছরে রাজ্য়ের কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। এই পরিস্থিতি পুজোয় আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে কিনা, সেই আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রনে আগাম সরব হয়েছে পরিবেশ কর্মী, সমাজ কর্মী, চিকিৎসক সংগঠন। সারা দেশে করোনা সংক্রমণ তীরের বেগে বেড়ে এখন নীচে নামছে ধাপে ধাপে। এদিকে উলট পূরাণ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে পুজো বন্ধের যে জন স্বার্থ মামলা উঠেছিল, তা শুনানিতে কেরলের ওনাম উৎসবের কথা তোলা হয়েছিল। ওই উৎসব হওয়ার পর কেরলে সংক্রমণ ৩২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজোয় যদি বেপরোয়া ভীড় হয়, তাহলে চরম বিপদের আশঙ্কা করছে কেন্দ্রের 'ন্য়াশনাল সুপার মডেল কমিটি ফর কোভিড-১৯'।
আরও পড়ুন, বরিশার ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে মমতা, আর্ট কলেজের প্রাক্তণীর সৃষ্টিতে প্লাবিত কলকাতা
পজিটিভিটির নিরিখে লাল কালির পড়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়
অপরদিকে, করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হারের নিরিখে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় বিপদ সঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যাক্তিরাও। পুজোর ঠিক দোরগোড়ায় শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে, পজিটিভিটির নিরিখে লাল কালির পড়েছে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় উপরে। করোনায় মৃত্যু হার বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে রাজ্য়ের ৮ টি জেলার পরিসংখ্যান নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন। জেলা স্বাস্থ্য পরিষেবা সূত্রে খবর, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবার পর্যন্ত সময়কে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের পরিসংখ্যান বিচার করতেই বেড়েছে আশঙ্কা। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণার কেস-সিপিআর অর্থাৎ পজিটিভিটির হার ২৪.৪৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, সারা দেশের মধ্যে সংক্রমণে শীর্ষ মহারাষ্ট্র। এদিকে সবথেকে অবাক করা তথ্য ১১ অক্টোবর অবধি সারাদেশের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের পজিটিভিটি কেস ১৯.৯৯। যা উত্তর পরগণার থেকেও কম। সবমিলিয়ে পুজোর মুখে চাপের মুখে চিকিৎসকেরা।