সংক্ষিপ্ত
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে করা রাজ্য সরকারের সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স অনুযায়ী, ৪ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেশি।
রাজ্য থেকে করোনা (Corona) এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা (Kolkata) ও উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে পুজোর আগে বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে না মানলে সুপার স্প্রেডার (super spreader) হতে পারে দুর্গাপুজো (Durga Puja)। উৎসবের মরশুমে দলে দলে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছে আইসিএমআর (ICMR)।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পুজো প্রায় শুরু হয়েই গিয়েছে। উপচে পড়া ভিড় মার্কেটগুলোতে। এরপর বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ভিড় বাড়তে পারে। সঠিক নিয়ম না মানলে বাড়াতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। ফের সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এছাড়া পুজোতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সেই কারণে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাতেই চিন্তিত রয়েছেন চিকিৎসকরা। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং।
আরও পড়ুন- গন্তব্য বুর্জ খালিফা, দ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় উপচে পড়া ভিড় টানল শ্রীভূমি স্পোর্টিং
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে করা রাজ্য সরকারের সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স অনুযায়ী, ৪ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেশি। আর তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং। সেই বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। কারণ পুজোর সময় অনেকেই পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ফলে সেখান থেকেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে সিঁদুর-খেলা থেকে আরতি পুজো মণ্ডপে সব কিছুর অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এগুলিতে সামিল হতে গেলে মানতে হবে শর্ত। টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এমনকী, টিকা নেওয়া থাকলে তবেই অঞ্জলি দেওয়ার বা দশমীতে সিঁদুর খেলার অনুমতি মিলবে।
ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সতর্ক করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, প্রতিশোধমূলক পর্যটন থেকেই ধেয়ে আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আসলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গৃহবন্দী বেশিরভাগ মানুষ। অনেক অফিসও চলছে বাড়ি থেকে। ফলে বাড়িতে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন অনেকেই। তাই সংক্রমণ কম থাকায় পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন বহু মানুষ। আর এই বিষয় থেকেই ফের রাজ্য রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের এই মানসিকতাকেই প্রতিশোধমূলক পর্যটন বলে আখ্যা দিয়েছে আইসিএমআর।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই শক্তিশালী ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা
এছাড়া করোনা নিয়ে উদাসীনতার ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যজুড়ে। মাস্ক পরেন না বহু মানুষ। সঠিক দূরত্ববিধিও মানা হয় না। পুজোর সময় এগুলি না মানলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তাই এই বিষয়ে প্রশাসনকে অনেক বেশি কড়া হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।