সংক্ষিপ্ত
মৃতের নাম আরজাউল হক (৬৮)। তাঁর বাড়ি চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের ধানগাড়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের এলাঙ্গি গ্রামে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিষনপুরের হাই মাদ্রাসাতে টিকা দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
করোনার (Corona) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণের (Vaccination) উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। আর সেই করোনার হাত থেকে বাঁচতেই টিকা (Vaccine) নিতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু, শেষরক্ষা আর হল না। টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে ফিরল তাঁর নিথর দেহ। টিকাকরণ কেন্দ্রে তাঁকে পিটিয়ে খুন (Beaten to Death) করা হয়েছে বলে অভিযোগ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (civic volunteer) বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ (Police)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মশালদহ হাসপাতাল চত্বরে।
মৃতের নাম আরজাউল হক (৬৮)। তাঁর বাড়ি চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের ধানগাড়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের এলাঙ্গি গ্রামে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিষনপুরের হাই মাদ্রাসাতে টিকা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। টিকাকেন্দ্রে তখন খুবই ভিড়। অভিযোগ, অনেকে আবার লাইনে না দাঁড়িয়ে প্রভাব খাটিয়ে আগেভাগে টিকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। নিজেদের পরিচিত লোককে লাইনের বাইরে দ্রুত টিকা নিতে পাঠাচ্ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তা দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি আরজাউল।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই শক্তিশালী ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা
এর প্রতিবাদ করেছিলেন আরজাউল। অভিযোগ, এরপরই তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁকে মারধর করে। মারের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মশালদহ হাসপাতালে। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হাসপাতালের সামনেই দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডলও যান ঘটনাস্থলে। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এরপর এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি। আশ্বাস পেয়ে রাত ১০টার সময় বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন- ৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা পেলেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, পুজোর মুখে খুশির খবর রাজ্যে
যদিও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারে ওই বৃদ্ধের যে মৃত্যু হয়েছে সেকথা অস্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি জানান, সিভিক পুলিশের মারে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়নি। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের। অকারণ উত্তেজনা তৈরি করছেন কিছু মানুষ।
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণে নেই বিজেপি বিধায়করা, সবাই ব্যস্ত-সাফাই রাজ্য সভাপতির
মৃতের আত্মীয় বলেন, “আমার দাদা টিকা নিতে গিয়ে দেখেন সিভিক পুলিশরা স্বজনপোষণ করছে টিকা নিয়ে। নিজেদের পরিচিতদের বেছেবেছে টিকা দিচ্ছিলেন তাঁরা। আমার দাদা এর প্রতিবাদ করতে কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ তাকে পিটিয়ে মেরেছে।” অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি।