সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, আজ তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে যেতে বলা হয়েছে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাপদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর এবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, আজ তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে যেতে বলা হয়েছে। যদিও আইনমন্ত্রী যাবেন কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে আইকোর মামলায় গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। অভিষেককে টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফর তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থা। আর এবার মলয় ঘটককেও তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এভাবে রাজ্যে উপনির্বাচনের আগে বিভিন্ন মামলার তদন্তে তৃণমূল নেতাদের তলব নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করকে ছাড়ছে না তৃণমূল ও বিজেপি।
৬ সেপ্টেম্বর কয়লা মামলায় অভিষেককে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কিন্তু, এতক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও আরও কিছু বিষয় অভিষেকের থেকে জানার প্রয়োজন ছিল তদন্তকারীদের। আর সেই কারণে ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়। সূত্রের খবর, একদিনের নোটিসে কলকাতা থেকে দিল্লিতে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তারপর ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন- রোমা ঝাওয়ারকাণ্ডে ১৬ বছর পর সাজা ঘোষণা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গুঞ্জন সহ ৪ জনের
সোমবার আইকোর-মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আইকোর মামলায় ক্যামাক স্ট্রিটে শিল্পসদনে গিয়ে শিল্পমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা। 'তাঁরা যা কিছু জানতে চেয়েছিলেন সলই জানিয়েছি' বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান পার্থ। আর এবার কয়লাকাণ্ডে তলব করা হল মলয় ঘটককে।
তবে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের কেন্দ্রীয় এজেন্সির পরপর এই তলব ঘিরেই চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। অভিষেককে তলবের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তা দেখানো হোক। এজেন্সি দেখিয়ে কংগ্রেস, শরদ পওয়ারকে জব্দ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তাঁকে জব্দ করা যাবে না।
আরও পড়ুন- লটারি জেতার প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারিত জওয়ান, গ্রেফতার অভিযুক্ত
ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এভাবে একের পর এক তৃণমূল নেতার তলবকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।