সংক্ষিপ্ত

কয়লাপাচারকাণ্ডে ফের রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী  মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি।  যদি এবারও রাজ্যের আইন মন্ত্রী দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা না দেন, তাহলে মলয় ঘটকের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal Scam Case ) ফের রাজ্য়ের আইন মন্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি (ED)। ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিল্লির ইডি দফতরে রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে (State Law Minister Moloy Ghatak)  তলব করা হয়েছে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তিনি আগেরবার হাজিরা দেননি। 

রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ইডি-র। তাই  ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিল্লির ইডি দফতরে রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছে। এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মলয় ঘটকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। যদি এবারও রাজ্যের আইন মন্ত্রী দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা না দেন, তাহলে মলয় ঘটকের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এনিয়ে এখনও মলয় ঘটকের তরফে কিছু প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি আদৌ দিল্লি যাচ্ছেন কিনা, তা জানা যায়নি। যদি তিনি হাজিরা না দেন, তাহলের আইন মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণ জানাবে  তাঁর  আইনজীবী।উল্লেখ্য, একুশ সালে অক্টোবার মাসে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ইডির সদ দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেসময় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর  ২ ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তিনি আগেরবার হাজিরা দেননি।এই নিয়ে মোট তিন বার মলয় ঘটককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন, দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের, তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি করল এনআইএ

অপরদিকে, কয়লা পাচার মামালায় একাধিকবার তলব পড়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়েরও। তবে এই মামলায় যাতে দিল্লিতে আর যেতে না হয়,  পরবর্তীতে কলকাতায় এসে ইডি যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করে, সেই আবেদন নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু শেষ অবধি এই মামলায়  অভিষেকের অন্তবর্তীকালীন রক্ষা কবচের দাবি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। মামলা চলাকালীন  অভিষেকের অন্তবর্তীকালীন রক্ষা কবচের আবেদন করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর বিরোধিতা করেন ইডি-র হয়ে  তুষার মেহতা।   অভিষেকের আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল বলেন, ফৌজদারি বিধি মেনে ইডি-র চলা উচিত। জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে কলকাতাতেই করা হোক। কারণ এই ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গে সংগঠিত হয়েছে। এদিকে পাল্টা অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, টাকা তছরুপ আইনে যে কোনও জায়গায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। এই আইনে পুলিশ স্টেশন বা নির্দিষ্ট কোনও সীমানা মানতে হয় না।'  শেষ অবধি সিব্বলের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।