যাদবপুর নিয়ে সংঘাত চরমে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন শিক্ষামন্ত্রী রাজভবনে বৈঠক করলেন তাঁরা বৈঠক সৌহার্দ্যপূর্ণ, টুইট রাজ্যপালের  

চিঠি চালাচালি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগযুদ্ধ। যাদবপুর নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত কি মিটল? মঙ্গলবার, বছরের শেষদিনে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 'মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক'-এর কথা টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই।

সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গেটে বাইরে গাড়ি বিক্ষোভ দেখানোই শুধু নয়, রাজ্যপালকে কালো পতাকাও দেখান পড়ুয়ারা। ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সেই চিঠির জবাবও আসে রাজভবনে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যপালের চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দেবেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী সুবিধামতো রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। এরপর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে শিক্ষামন্ত্রী নিজে চিঠি লিখে জানান, 'বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত সংস্থা। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানকার অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ বা বাতিল করেন উপাচার্যই। বর্তমান আইন অনুসারে, শিক্ষাদপ্তর এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বললেই চলে।' শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে লেখা চিঠিটি আবার টুইটারে প্রকাশও করে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দেন আচার্য জগদীপ ধনখড়ও। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবনে আলোচনার টেবিলে বসলেন রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী।

Scroll to load tweet…

এদিকে মঙ্গলবার রাজভবনের ঐতিহাসিক লাইব্রেরিতে বসে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা রেকর্ড করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উল্লেখ্য, লাইব্রেরিতে যে চেয়ার বসেছিলেন রাজ্যপাল, সেই চেয়ারে বসেই ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন লর্ড কার্জন। 

Scroll to load tweet…