সংক্ষিপ্ত

দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই হামলার জেরে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। আজ বিকেল ৪টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। 

ভবানীপুরে উপনির্বাচনের (Bhabanipur By Election) আগে হাতে বাকি আর মাত্র ৩ দিন। আজই শেষ দিনের প্রচার (Last Day Campaign) ছিল সেখানে। আর শেষ দিনের এই প্রচারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজার এলাকায়। আজ দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কর্মসূচিতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা (TMC Supporter)। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই হামলার জেরে এক বিজেপি কর্মীর (BJP Worker) মাথা ফেটে গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের (state government) কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আজ বিকেল ৪টের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট (Report) জমা দিতে বলা হয়েছে। 

 

 

এদিন যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। বিলি করেন প্রিয়াঙ্কার নাম দেওয়া লিফলেট। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের (Local People) সঙ্গেও। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। এরপর সেখানে টিকাকরণ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি সাংসদকে নিগ্রহ করা হয়। দেওয়া হয় জয় বাংলা স্লোগান। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ভাবনারায়ণ সিং নামে এক বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভিড় হঠানোর চেষ্টা করেন। গোটা ঘটনায় অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের দিকে। কোনওরকমে সেই এলাকা থেকে বের হন দিলীপ ঘোষ। জখম দলীয় কর্মীকে চিকিৎসার (Treatment) জন্য নিয়ে যান তিনি। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে শেষ দিনের প্রচারে উত্তেজনা, দিলীপকে বাধা তৃণমূল কর্মীদের, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

ঘটনার বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করছি তাতে ভয় পাওয়ার কী আছে? টেনশন নেওয়ার কী আছে? আপনি মাঠেও আটকাতে পারবেন না, ভোটেও পারবেন না।" দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন- আবারও কি ঘর ভাঙছে বিজেপির, কুণালের টুইটের উত্তরে লকেটের মন্তব্যে উঠেছে তেমনই প্রশ্ন

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "পরিস্থিতি খুবই খারাপ আর নির্বাচন কমিশন কিছুই করছে না। আমাদের প্রতিনিধি দল দিল্লিতে ও এখানে তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিল। কিন্তু, কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।"

আরও পড়ুন- ভবানীপুরের ভোটার প্রশান্ত কিশোর, মমতাকে ভোট দিতে কি লাইনে দাঁড়াবেন ভোট কুশলী

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, "তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। আমাদের প্রচার করতে দিচ্ছেন না। তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, তাঁদের মারধর করছে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট দেওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিন।" পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।  
 

YouTube video player