সংক্ষিপ্ত
সদ্যো শেষ হওয়ার বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নাকি প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। ঘটনাচক্রে শনিবার তা প্রকাশ্যে এসেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন (Bhabanipur Bypoll)। তার আগেই সামনে এল এক অবাক করা তথ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরের ভোটার হয়েছেন তাঁর এক সময়ের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তবে একটাই প্রশ্ন, ভারতের প্রথম সারির ভোট কুশলী কে কি দেখা যাবে ভোটারদের লাইনে?এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। তবে ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাঁর নাম যে ভোটার লিস্টে রয়েছে তার বলা যেতেই পারে।
সদ্যো শেষ হওয়ার বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নাকি প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। ঘটনাচক্রে শনিবার তা প্রকাশ্যে এসেছে। ভোটার লিস্টে তাঁর ঠিকানাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া। অর্থাৎ কালিঘাটের পটুয়াপাড়া এলাকায়। তালিকা অনুযায়ী ভাবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২২২ পার্টের অর্থাৎ সেন্ট হেলেন স্কুলই হল প্রশান্ত কিশোরের ভোট কেন্দ্র। সূত্রের খবর বিধানসভা নির্বাচনের সময় ব্যস্ততার কারণে তিনি ভোট দিতে পারেননি। এবার কী দেবেন? তার কোনও উত্তর দেননি প্রশান্ত কিশোর।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করছে ভোট দেবেন প্রশান্ত কিশোর।
অন্য একটি সূত্র বলছেন বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি কলকাতায় ভোটার লিস্টে নাম তোলেন-সেটাও নির্বাচনী কৌশলের অঙ্গ। তাঁর আশঙ্কা ছিল নির্বাচনের সময় বিজেপি তাঁকে বহিরাহত তকমা দিয়ে কলকাতার বাইরে বার করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। কিন্তু সেই সময় প্রচারক হিসেবে তাঁর কলকাতায় থাকাটা জরুরি ছিল বলে মনে করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই নাম নথিভুক্ত করেন।
'একটি ছোট্ট ছেলে চায়ের দোকানে বাবাকে সাহায্য করত', রাষ্ট্র সংঘে কেন একথা বললেন নরেন্দ্র মোদী
কাপড়কাচার নির্দেশ দিয়ে কি বিপাকে বিচারপতি, কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ আদালতের
যদিও এই খবর সামনে আসার পরই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে আসরে নেমে পড়েছেন। বিজেপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরও বাংলার ভোটার। তাহলে বাংলার মেয়ে জেতার জন্য বহিরাগতদের ভোট চায়।
প্রশান্ত কিশোরার নির্বাচনী কৌশলে সদ্যোসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাৎ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারলেও তাঁর দল ২৯৩টি আসনের মধ্যে ২১৩টি আসন পেয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় নিশ্চিহ্ন বাম ও কংগ্রেস। প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এলেও ৭০টি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বিজেপিকে। তবে ভোট পরবর্তী দল বদলের কারণে বিজেপির আসন সংখ্যা কমতেই পারে।