সংক্ষিপ্ত
ফের কলকাতার বুকে স্পা-র আড়ালে রমরমিয়ে মধুচক্র চালানো অভিযোগ। বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্পা সেন্টারে কর্মরত এক তরুণী।
ফের কলকাতার বুকে স্পা-র আড়ালে রমরমিয়ে মধুচক্র চালানো অভিযোগ। বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্পা সেন্টারে কর্মরত এক তরুণী। তাঁকে য়ৌন হেনস্থাও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ওই কর্মী। বিষয়টি জানার পরেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ দায়ের করা ওই তরুণী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তিনি সল্টলেকের এফডি ব্লকের ওই স্পা সেন্টারে চাকরি পান। শুরু বিষয়টা তিনি বুঝতে পারেননি। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্য়েই গোটা বিষয়টাই স্পষ্ট হয়ে যায়। ওই তরুণী কর্মচারী বুঝতে পারেন, এখানে স্পা-র আড়ালে মধুচক্র চলছে রমরমিয়ে। ওই তরুণীকেও মধুচক্রে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রীতিমত জোর করা হয় তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এমনকি কাজ করতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকারও হয়েছেন তিনি। এরপরেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের দ্বারস্থ হন তিনি। লিখিত অভিযোগ করেছেেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কত দিন ধরে চলছিল, নেপথ্য়ে কারা কারা ছিল, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, সৎবাবার যৌন লালসার শিকার মেয়ে, সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে 'গলা টিপে' খুন করল মা
তবে শুধু এবার নয়, এর আগেও শহর কলকাতায় স্পা এর আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল সেক্স র্যাকেট। সেবার পর্দা ফাঁস করেছিল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাওয়ার পর বেশ কিছু দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিল পুলিশ। তারপরই হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই ব্য়বসায় যুক্ত থাকা এক ব্য়ক্তিকে। এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজন মহিলাকেও উদ্ধার করে। খাস কলকাতার তপসিয়ায়, অনেকদিন ধরে স্পা-র নাম নিয়ে চলছিল ওই দেহ ব্য়বসা । এই খবর এসে পৌছানোর পর, পুলিশ দিন গুনছিল যাতে হাতেনাতে ধরা যায়। ক্যানাল সাউথ রোডের ওই স্পা-তে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে তখন এক খদ্দেরের সঙ্গে দর কষাকষি চলছিল এক তরুণীর। তারপর প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে এক খদ্দেরকে। এবং ঘটনাস্থল থেকেই চার যৌনকর্মী মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কলকাতার ওই স্পা সেন্টারে চলছিল আরও কিছু বেআইনি কাজ। দেহ ব্য়বসার সঙ্গে গর্ভ নিরোধক, মদ এসবেরও ব্য়বসা সবার আড়ালে বহাল তবিয়তে চালাচ্ছিল ওই স্পা সেন্টারে। এবং যৌন ব্যবসার ৫০ হাজার ৮০০ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর আগেও যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক মহিলা ও এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই সন্দেহেই পরে আবার খেয়াল রাখে পুলিশ। তারপরেই গোপন সূত্রে খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ।