সংক্ষিপ্ত
৯টা ৫০ নাগাদ অসীমা দেবী ও তাঁর বোন ১২ সি বাসে ওঠার জন্য বোনের সাতে জেস্টনের মোড়ে যান। এমনকী ১২সি বাসে তাঁর বোন উঠেও পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। কিন্তু বাসের পাদানিতে পা দিয়েও শেষরক্ষ হল না।
সাতসকালেই রক্তাক্ত কলকাতার(Kolkata) রাজপথ। নিয়মিত যে বাসে অফিসে যান সেই বাসে ওঠার আগেই প্রাণ গেল এক ফুড কর্পোরেশনের কর্মীর। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তারাতলা রোডের(taratala Road) জেস্টন কোম্পানির কাছে। তখন ঘড়িতে বাজে সকাল ৯ টা ৫০। এদিকে ওই সময়েই প্রত্যেকদিন জেস্টন থেকে ১২ সি বাস ধরে জিঞ্জিরা বাজার অবধি যেতেন ফুড কর্পোরেশনের কর্মী(Food Corporation staff) অসীমা হাতি (৫২)। আজও সেই মতো ৯টা ৫০ নাগাদ অসীমা দেবী ও তাঁর বোন ১২ সি বাসে ওঠার জন্য বোনের সাতে জেস্টনের মোড়ে যান। এমনকী ১২সি বাসে তাঁর বোন উঠেও পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। কিন্তু বাসের পাদানিতে পা দিয়েও শেষরক্ষ হল না।
জেস্টনের মোড়ে যে সময় ১২ সি রুটের বাস টি দাঁড়িয়ে প্যাসেঞ্জার তুলছিল সেই সময় হঠাৎই অন্য একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান অসীমা দেবী। বাসের চাকার পিষ্ট হন তিনি বলেই দাবি স্থানীয়দের। সঙ্গে সঙ্গে দুটি বাসের ড্রাইভার পালিয়ে যায় বলে খবর। এদিকে ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকের। এদিকে ইতিমধ্যেই দুটি বাসকে আটক করেছে তারাতলা থানার পুলিশ। দুটি বাসের ড্রাইভারের খোঁজে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি অভিযা।
আরও পড়ুন- ২ জন খুনে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বাংলাদেশের বিচার নিয়ে চাপানউতর এবার বাংলাতেও
এই ঘটনায় রাস্তার পাশে একটি লাইটপোস্টও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাইটপোস্টের গোরার সিমেন্ট অংশ ভেঙে যায়। লাইট পোস্টটি সম্পুর্ণ বেঁকে যায় বলে খবর। এদিকে জেস্টন মোড়ে বাসের ধাক্কায় সেখানে উপস্থিত আরও একজন ভদ্রমহিলা আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এদিকে মৃত মহিলার বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকার বিশালক্ষী তলায় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে অসীমাদেবীর ভাই তাপস বাগ বলেন, “ প্রথম বাসটা ভুল দিয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে শুনেছি। সেই সময় দিদি হাত দেখিয়ে উঠতে গিয়েছে। আর তখনই পিছন থেকে আরেকটা বাস এসে মেরে দিয়েছে। আমার দুই দিদি ছিল। একজন উঠেও পড়ে বাসে। অন্যজন ওঠার আগেই মেরে দেয় বাসটা।” প্রত্যক্ষ দর্শীদের দাবি রেষারেষি করে ওভারটেক করতে গিয়ে এই কাণ্ডে বাঁধিয়েছেন দুই বাস ড্রাইভার।