সংক্ষিপ্ত
ভুয়ো খবর চেনার গবেষণায় যাদবপুরের প্রাক্তনীরা। কোভিডকালে ভুয়ো খবরে ভরে সারা বাংলা তথা দেশ। একের পর এক ফেক নিউজ কীভাবে বিভ্রান্ত করেছিল সবাইকে, তা কাছ থেকেই দেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন তিন পড়ুয়া।
ভুয়ো খবর চেনার গবেষণায় যাদবপুরের প্রাক্তনীরা ( EX Students of Jadavpur University)। কোভিডকালে ভুয়ো খবরে ভরে সারা বাংলা তথা দেশ। একের পর এক ফেক নিউজ কীভাবে বিভ্রান্ত করেছিল সবাইকে, তা কাছ থেকেই দেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন তিন পড়ুয়া। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ভুয়ো খবর ( Fake news )বার করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। তারপরেই একটি মডেল তৈরি করেছেন প্রযুক্তিবিদ সৌরদীপ্ত দাস, অয়ন বসাক এবং সৈকত দত্ত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রাক্তনী তথা ওই তিন প্রযুক্তিবিদ সৌরদীপ্ত দাস, অয়ন বসাক এবং সৈকত দত্তের ভুয়ো খবর ধরার মডেলটি ইতিমধ্যেই নিউরো কম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। সৌরদীপ্ত এবং অয়ন দুজনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিনিকেশন এবং সৈকত কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। তবে তিনজনের এখন ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসাবে কর্মরত। তিনজনের মিলেই তৈরি করেছেন ভুয়ো খবর ধরার ওই মডেল। তারা জানিয়েছেন, টুইটারে যেভাবে ভুয়ো খবরের স্রোত চলতে থাকে এবং সংবাদ প্রতিবেদনের আকারে যে ভুয়ো খবর পেশ করা হয়, এমন ধরণের দুটি খবরকেই চেনা সম্ভব। সৌরদীপ্ত বলেছেন, প্রযুক্তির সাহায্যে এই সমস্ত বিভিন্ন খবরের বৈশিষ্ঠ , যেমন শিরোনাম, লেখকের নাম, প্রকাশকের নাম, ছবি কিছু বিশেষ শব্দ চিনে নেওয়া সম্ভব হবে। সেই সব বিশ্লেষণ করেই বোঝা যাবে ওই খবর ভুয়ো হওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তির মাধ্যমে এর বিচার হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না গবেষকরা। কারণ ভুয়ো খবরের নির্মান এবং গড়ন প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। তাই বিশেষ কিছু বৈশিষ্ঠের উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি পুরোপুরি ঠিক নাও বলতে পারে। সৌরদীপ্ত আরও বলেছেন, প্রযুক্তি এখন ১০০ শতাংশ ভূল বা ঠিক বলতে পারে না। তাই আমাদের মডেলে একটা অনিশ্চয়তার অংশ রয়েছে। যার সাহায্যে কোনও খবর ভুয়ো হওয়ার সম্ভবনা বেশি , তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। '
অপর দিকে ভুয়ো খবর রুখতে মানুষ এবং প্রযুক্তির মেল বন্ধনের উপরেই জোর দিচ্ছেন তারা। ভুয়ো খবর ধরার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,' এত বিষয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ায়, কেবল প্রযুক্তির মাধ্যেমে খুঁজে বার করা অসম্ভব। মানবযুক্তি দিয়েই বিচার করাটাই সবচেয়ে কাজের। আবার বিপুল পরিমাণে যেভাবে ভুয়ো খবরের ঢেউ সোশ্যালমিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেটা খুজে পাওয়াও অসম্ভব।' প্রসঙ্গত, কোভিড বর্ষে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও কারও কারও ভুয়ো মৃত্য়ু খবর থেকে শুরু করে আই হাসপাতাল নিয়েও ভুয়ো খবরের দায়ে অনেককে গ্রেফতার করে পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ। তাও ভুয়ো খবর থামানো যায়নি। আর এবার সেই ভুয়ো খবরে লাগাম দিতে যাদবপুরের ৩ প্রাক্তনীর উপর ভরসা বাংলা তথা ভারতবাসীর।