সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়ে ভুয়ো ভোটারদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ব্রাবোর্ন রোডে। 

সকাল থেকে কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি (Sporadic Incidents) ধরা পড়েছে। কোথাও পোলিং এজেন্টকে (Polling Agent) বুথে ঢুকতে বাধা, কোথাও বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate) উপর হামলার অভিযোগ। আবার কোথাও বোমাবাজি (Bombing) করা হয়েছে। আর তারই মধ্যে সামনে এসেছে ভুয়ো ভোটারের (Fake Voter) অভিযোগ। একাধিক বুথে ভুয়ো ভোটারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা (Kolkata)। ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ উঠেছে জোড়াবাগানে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। ভুয়ো ভোটার সন্দেহে এক যুবককে মারধর করা হয়। অভিযোগ, সন্দেহজনকভাবে মহেশ্বরী বিদ্যালয়ের বুথের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন যুবক। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ধাওয়া করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। ধাক্কা মেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে যান। নিজেকে লিলুয়ার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়ে (Jain School) ভুয়ো ভোটারদের (Fake Voter) দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ব্রাবোর্ন রোডে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার সকালেই ওই এলাকায় পৌঁছান সন্তোষ পাঠক। তাঁর অভিযোগ, 'বেশ কয়েকজন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তাঁদের ভোটার কার্ড নেই। বাবা মায়ের নামও ঠিক মত বলতে পারছেন না। তাঁদের চেপে ধরতেই দু'জন সেখান থেকে পালিয়ে যান। তবে দু'জনকে আমরা ধরতে পেরেছি।' তাঁর দাবি ওই যুবকরা ভুয়ো ভোটার। তাঁরা হাওড়ার বাসিন্দা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ব্রাবোর্ন রোডে। এমনকী, পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূল ও বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের হেনস্থা করতেই এই ধরনের গল্প সাজাচ্ছেন সন্তোষ পাঠক। এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি, এলাকায় আতঙ্ক

এ ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, "সন্তোষ নাটক করছে। অযথা ভোটারদের বিরক্ত করছে যাতে মানুষ ভোট না দেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মানে কী! নিজে বানিয়ে নিয়ে এসে লোককে দেখালে কে ধরবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এখানে পুলিশ আছে। যা বলার ওদের বলুক। ভোটারদের বিরক্ত করার মানে কী।" অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী কুশল পান্ডের অভিযোগ, 'কংগ্রেস প্রার্থী ভোটারদের হেনস্তা করছেন। তিনি ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছেন না। সেখানে গিয়ে ঝামেলা করছেন।'

আরও পড়ুন- বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিতকে বুথে ঢুকতে বাধা, পোশাক ছেঁড়ার অভিযোগ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপর খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিসি রূপেশ কুমার। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি। যেহেতু এই এলাকা থেকে বড়বাজার চত্বর সামনে। তাই সেখানে বহু বাইরের কর্মীরই থাকার জায়গা এটা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে বহু কর্মী দোকান ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। পুলিশের তরফে তাঁদের ঘর ও দোকানে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।