সংক্ষিপ্ত
- দীর্ঘ ৬০ বছরের সাহিত্যজীবন তাঁর
- আজও তাঁর লেখা বইয়ের পাতায় মুখ গুজে বিভোর হয়ে থাকে কত কিশোর যুবা
- তবু কখনও জোটেনি কোনও সরকারি স্বীকৃতি
- এবার ডি. লিট পেতে চলেছেন বুদ্ধদেব গুহ
দীর্ঘ ৬০ বছরের সাহিত্যজীবন তাঁর। আজও তাঁর লেখা বইয়ের পাতায় মুখ গুজে বিভোর হয়ে থাকে কত কিশোর যুবা। তবু কখনও জোটেনি কোনও সরকারি স্বীকৃতি। এবার তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছে টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ। এ মাসেই টেকনো ইন্ডিয়ার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডিলিট পাবেন বুদ্ধদেব গুহ। বুদ্ধদেব গুহ-র এই প্রাপ্তিতে স্বভাবতই খুশি বাংলাসাহিত্য মহল। বুদ্ধদেবের সাহিত্য আপামর বাঙালিকে বুঁদ করে রাখলেও কখনও প্রাপ্য সম্মান পাননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পাচ্ছে নতুন শেরিফ, দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রখ্যাত লেখক শংকর
বুদ্ধদেবের জন্ম ১৯৩৬ সালে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ জঙ্গলমহল। তবে তাঁকে খ্যাচতির শীর্ষে পৌঁছে দেয় মাধুকরী। দীর্ঘকাল বেস্টসেলার থেকেছে এই বই। বুদ্ধদেব গুহ ১৯৭৭ সালে আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। শুধু লেখাই নয়। তার অন্য একটি গুণও কয়েক যুগ ধরে মাতিয়ে রেখেছে বাঙালিকে। পুরাতনী টপ্পায় তিনি এক ও অদ্বিতীয়। উল্লেখ্য তাঁর স্ত্রী প্রয়াত ঋতু গুহও বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। বুদ্ধদেব ছবি আঁকাতেও পারঙ্গম। গত বছরই 'বনজোৎস্নায় সবুজ অন্ধকারে' নামক একটি প্রদর্শনী করেন বুদ্ধদেব। মগ্ন হয়ে সেই ছবি দেখে তামাম কলকাতা। বুদ্ধদেব অবশ্য দাবি, করেন তিনি মনের আনন্দে ছবি আঁকেন। প্রসঙ্গত বয়েসজনিত কারণে চোখের জ্যোতিও কমেছে তাঁর।
বাঙালি যুবক যুবতীর কাছে কোয়েলের কাছে,একটু উষ্ণতার জন্যে, বাবলি, হলুদ বসন্ত, কোজাগরের মতো উপন্যাসগুলি আজও যুবক যুবতীদের বিমুগ্ধ করে রাখে। কয়েকদিন আগেই জন্মদিন গিয়েছে বুদ্ধদেব গুহ-র। অনুরাগীরা মনে করছেন এর থেকে ভাল কিছু উপহার পেতেই পারেন না ঋজুদা।