সংক্ষিপ্ত
দত্তপুকুর এলাকায় প্রায় ৩০টার বেশি ফাইবারগ্লাসের কারখানা রয়েছে। শিল্পীরা জানিয়েছেন যে, যেহেতু সাবেকি পুজোর থেকে থিমের পুজোর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের, সেক্ষেত্রে ফাইবার গ্লাসের মাতৃ প্রতিমা তৈরীর বরাতও এসেছে অনেকটা বেশি।
বাঙালির সেরা আনন্দের এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া। দুর্গাপুজোকে নিয়েই বাঙালির সমস্ত উন্মাদনা প্রকাশ পায়। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিমার আড়ম্বরতা, সবকিছুতেই পুজো কর্তারা একে ওপরের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চান। অতীতে সাবেকি পুজোর মধ্যে বাঙালির সীমাবদ্ধতা থাকলেও, এখন বারোয়ারি পুজো সংগঠনের আয়োজকদের মনে ধীরে ধীরে দানা বেঁধেছে থিম পুজোর উৎসাহ।
থিম পুজো মণ্ডপের সাথে তাল মিলিয়ে এবছর মাটির প্রতিমার সাথে সাথে চাহিদা বেড়েছে ফাইবার গ্লাসের প্রতিমার। টানা দু'বছরের অতিমারী কাটিয়ে ওঠার পর এ বছর শারদীয়া উৎসবে থিমের রমরমা এবং সেই থিমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবারের পরিযায়ী দুর্গা।
দত্তপুকুর এক নম্বর ব্লক এলাকায় বহু শিল্পী ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ফাইবার গ্লাসের বিভিন্ন প্রতিমা তৈরির কাজে। এইবার থিমের পুজোয় ফাইভ গ্লাসের মাতৃ প্রতিমা তৈরিতে আকর্ষিত হয়েছে বহু পুজো কমিটি, এই পরিস্থিতিতে একাধিক থিমের পুজোয় ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পেয়েছে দত্তপুকুর অঞ্চলে কর্মরত ফাইবার গ্লাসের শিল্পী থেকে কর্মচারীরা, চওড়া হাসি ফুটেছে কর্মীদের মুখে।
এক ফাইবার শিল্পী জানান, বাঙালি সবসময়ই সংস্কৃতি সৃষ্টি করে। আর সেখানেই সাবেকিয়ানা থেকে থিমের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে বাঙালির পুজো। তাছাড়া এবছর দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করায় দুর্গোৎসবকে আরও সৌন্দর্য ও নিখুঁত করতে তাঁরা ফাইবার গ্লাসের মাতৃ প্রতিমা তৈরিকে বেছে নিয়েছেন। এই কাজ খুবই নিখুঁত ও দৃষ্টি নন্দন। বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় বারোয়ারি পুজো সংগঠনগুলির কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২টা করে মাতৃ প্রতিমার বরাত পেয়েছেন একাধিক ফাইবার গ্লাসের শিল্পীরা।
শুধু রাজ্যেই নয়, রাজ্যের বাইরেও বিভিন্ন প্রান্তে চাহিদা বেড়েছে ফাইবার গ্লাসের মাতৃ প্রতিমার। প্লাস্টিক বা থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে পুজো মণ্ডপ তৈরীর সৌন্দর্যনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছুটা বরাত পেয়েছেন এই ফাইবার গ্লাস তৈরির কর্মচারীরা।
শিল্পীরা জানিয়েছেন যে, যেহেতু সাবেকি পুজোর থেকে থিমের পুজোর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের, সেক্ষেত্রে ফাইবার গ্লাসের মাতৃ প্রতিমা তৈরীর বরাতও এসেছে অনেকটা বেশি। গোটা দত্তপুকুর এলাকায় প্রায় ৩০টার বেশি ফাইবার গ্লাসের কারখানা রয়েছে। সেখানে প্রতি কারখানা পিছু প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিল্পী কাজ করেন। গত ২ বছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের প্রবল আর্থিক অনটনের মুখে পড়তে হয়েছিল, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এ বছর বেশ কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন এই সমস্ত ফাইবার গ্লাসের শিল্পী ও কর্মীরা। টানা দু বছর পর স্বাভাবিক ছন্দে দুর্গা পুজোর আয়োজনে কার্যত চওড়া হাসি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন দত্তপুকুর অঞ্চলের এই শিল্পী ও কর্মীবৃন্দরা।
আরও পড়ুন-
পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার সঙ্গে কোমর জড়িয়ে উত্তাল নাচ, কে সেই ইনায়া সুলতানা?
আস্থাভোটে ধরাশায়ী বিজেপি, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় জয়ী হয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করে দিলেন হেমন্ত সোরেন
‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’-এর ট্রেলারে ঝলক দিচ্ছেন সালমান, কর্মজীবনের ৩৪ বছর পূর্তিতে ভক্তদের জন্য অনন্য উপহার