সংক্ষিপ্ত
- এ যেন বলিউডের জয় বীরুর গল্প।
- একজন অনেকের চোখে খলনায়ক একজন অনেকের চোখের নায়ক।
- দুর্দিনে মায়ের দু'জনকেই দরকার।
এ যেন বলিউডের জয় বীরুর গল্প। একজন অনেকের চোখে খলনায়ক একজন অনেকের চোখের নায়ক। দুর্দিনে মায়ের দু'জনকেই দরকার। তাই ঘর গোছাতে ঝড়ের দিনে ভাল-খারাপের দন্দ্ব কাটিয়ে দিতে চাইছে সকলেই।
অতীতের বিবাদ মিটিয়ে নিতে কলকাতা পুরসভার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম কাছে ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা স্নেহভাজন, পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
শোভন-বৈশাখী কান্ডে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাদ, বৈশাখীর সঙ্গে সখ্য সব মিলে শোভনের ব্যক্তিগত জীবন হাটখোলা হয়ে গিয়েছে। একটা সময়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তিতিবিরক্ত হয়ে ডানা ছেঁটে দেন শোভনের। রাতাারাতি মেয়র পদ থেকে সরানো হয় শোভনকে। অভিমানী শোভন নিজেকে সবকিছু থেকেই সরিয়ে নিয়েছেন। গত ১৯ মে ভোট দিতে গিয়েও নাকের ডগায় বাড়িতে যাননি।
ইতিমধ্যে রাজ্যে নানা পটপরিবর্তন হয়েছে। প্রায় বিরোধীশূণ্য জায়গা থেকে মমতার গড়ে আজ গেরুয়া নিশ্বাস। এমন দুর্দিনে ভাঙা জল জোড়া লাগাতে মমতা বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। মমতা নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করে নিয়েছেন একা বোধ করছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ককে ফোন করেছেন ফিরহাদ হাকিম। বলেছেন, 'দেখছিস তো দলের এখন দুর্দিন। মুখ ফিরিয়ে না থেকে চলে আয়।'
উল্লেখ্য মমতার আদরের কানন নাকি এর উত্তরে বলেছেন, এখন ঘুমবো। গড়ে আগুন লেগে গিয়েছে, শোভনের ঘুম কখন ভাঙবে, লক্ষ টাকার প্রশ্ন।