সংক্ষিপ্ত
- কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর আঁতুরঘড় দেখতে এসেছিলেন ডেপুটি মেয়র
- অতীন ঘোষের কাছে বিবরণ শুনে এবার দেখতে এলেন ফিরহাদ হাকিম
- পুকুর দেখতে এসে আবর্জনার স্তূপই চোখে পড়ল মেয়রের
- পুকুরের সঙ্গে পার্ক করার ইচ্ছা থাকলেও আইনি কারণে পিছিয়ে এলেন মেয়র
কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর আঁতুরঘড় দেখতে এসেছিলেন ডেপুটি মেয়র। অতীন ঘোষের কাছে বিবরণ শুনে এবার দেখতে এলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে পুকুর দেখতে এসে আবর্জনার স্তূপই চোখে পড়ল মেয়রের। পুকুরের সঙ্গে পার্ক করার ইচ্ছা থাকলেও আইনি কারণে পিছিয়ে এলেন মেয়র। জানিয় দিলেন, মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত একানে কিছু হবে না। তবে এলাকাবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে সরিয়ে ফেলা হবে আবর্জনার স্তূপ।
বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। সরেজমিনে বিষয়টি দেখেত কিছুদিন আগেই এলাকায় এসেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এবার এলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এলাকাবাসীরা তাঁকে জানান, এই ওয়ার্ডটিতে বেশকিছু আবর্জনাপূর্ণ ফাঁকা জমি ও পুকুর রয়েছে। এই আবর্জনাপূর্ণ জমি ও পুকুরগুলি থেকেই মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভায়। বুধবার বেহালার ৪৮ নম্বর পঞ্চাননতলা রোডের একটি আবর্জনাপূর্ণ পুকুর পরিদর্শন করে এলাকার মানুষের ক্ষোভের কথা শোনেন মেয়র। দীর্ঘদিন ধরে শরিকি লড়াইয়ের কারণে এই পুকুরটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হওয়ার কারণে এই ওয়ার্ডের মানুষজন বর্তমানে পুরো পিতাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। শোভনবাবুর উদাসীনতার কারণে এই এলাকার নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ শোনা যায়।
পরে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে যদি শরিকি দ্বন্দ্ব বা জমির মালিকদের উদাসীনতার বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে নতুন বিল আনবে সরকার। সেখানে এইসব জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। এ বিষেয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিধানসভায় একটি বিল আনার আবেদন জানাবেন তিনি। তাহলে পুরসভা ওই জমি হাতে নিয়ে এলাকা পরিষ্কার রাখতে পারবে।