সংক্ষিপ্ত

  •  ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের মধ্য়েই কোন্দল
  • অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
  •  চুনো পুঁটিরা ধরা পড়ছে, বাদ যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা
  • এমনই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়

বিজেপি  নয়, রাজ্য়ে ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের মধ্য়েই কোন্দল শুরু হয়ে গেল। হাওড়ার ডোমজুড়, সাঁকরাইলে পঞ্চায়েতের একাধিক নেতার ওপর উপর কোপ পড়তেই জেলা সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি  বলেন, এখানে চুনো পুঁটিরা ধরা পড়ছে। বাদ যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা। 

রাজীবের এই বাক্যবানের পাল্টা দেন  অরূপ রায়। পরিষ্কার তিনি  জানিয়ে দেন, দলের নিয়ম মেনেই সব হচ্ছে। কারও কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে জানাক। কিন্তু শাসক দলের এই তরজা প্রকাশ্যে আসতেই দুই মন্ত্রীকেই সতর্ক করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বলা অন্যায়। প্রত্যেকেই দলের সদস্য। কারও কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে বলুন। তাতে কাজ না হলে দলনেত্রীকে বলুন।
 
জানা গিয়েছে, শুক্রবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রাজীব ঘনিষ্ঠ তিনজন নেতাকে সাসপেন্ড করেন হাওড়ার জেলা সভাপতি। আরও দু’জনকে শোকজ করা হয়। কদিন আগে জেলার তিন নেতাকে সাসপেন্ড করেছেন হাওড়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। শনিবার তা নিয়েই তীব্র সমালোচনা করে ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাঘববোয়াল, রুই, কাতলা, ইলিশদের ছেড়ে চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চুনোপুঁটিরা অন্যায় করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা নিয়ে আপত্তি করছি না। কিন্তু যে সব রাঘববোয়াল দুর্নীতিবাজ বলে পরিচিত, তাঁরা কারও কাছের মানুষ হওয়ার কারণেই ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

দলীয় সূত্রে খবর, যাঁদের শোকজ করা হয় তাঁরা দু’জনেই আবার অরূপ গোষ্ঠীর লোক। সাসপেন্ড হন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপড়দা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল ও জগৎবল্লভপুর পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বোস। শোকজ করা হয় বড়গাছিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ নুর হোসেনকে।

এই বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, তিনি হাওড়ায় দলের কো-অর্ডিনেটর। তবু ত্রাণ দুর্নীতির সাসপেনশনের বিষয়ে তাঁর কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। কোনও বৈঠকে ডাকা হয়‌নি। যদিও অরূপ রায়ের বক্তব্য, ওঁকে ডাকা হয় না বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। সমস্ত তথ্য প্রমাণ আছে। আমি দলের প্রথম দিনের র্কমী। দলের নিয়মশৃঙ্খলা, দলের নীতি আর্দশ মেনে কাজ করি। এ সব সংবাদ মাধ্যমের কাছে না বলে দলের একটা সাচ্চা র্কমীর কাজ হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপারগুলো দলকে আগে বলা।