সংক্ষিপ্ত
- প্রেসিডেন্সি জেলের উত্তমকুমার সেলে ফিরহাদ-সুব্রত
- গোটা রাতই উদ্বেগে ছিলেন তাঁরা দুজন
- তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সতর্ক জেল কর্তৃপক্ষ
- উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলের দুটি পৃথক ঘরে ছিলেন ফিরহাদ ও সুব্রত
প্রেসিডেন্সি জেলের উত্তমকুমার সেলে রাখা হয় ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সকালে উঠে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করেন ফিরহাদ হাকিম। গোটা রাতই উদ্বেগে ছিলেন ফিরহাদ ও সুব্রত। ফলে তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সতর্ক রয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলের দুটি পৃথক ঘরে রয়েছেন ফিরহাদ ও সুব্রত।
জানা গিয়েছে উত্তমকুমার সেলে মোট ছটি ঘর রয়েছে। তারই দুটি ঘরে ছিলেন এই দুই মন্ত্রী। প্রেসিডেন্স জেলে উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলে চারটি ঘর তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এদিকে সোমবার প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আদেশ খারিজ করে দেন। জানা গিয়েছে আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত তাঁরা কেউ ছাড়া পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার ভোররাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। দুই জনেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং বেশকিছু ক্রণিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে ওঠার অভিযোগ করেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল। ফলে, ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মদন মিত্রকে উডবার্ন বিভাগের ১০৩ নম্বর ঘরে এবং শোভনকে উডাবার্নেরই ১০৫ নম্বর রুমে রাখা হয়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থাও খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি প্রেসিডেন্সির জেল হাসপাতালেই চিকিৎসা করাবেন। তবে পরে বেলা গড়াতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অসুস্থতা বাড়তে থাকে। তাঁকে এসএসকেএমের উডবার্ণ বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, নারদকাণ্ডে গ্রেফতারি ও পরে জামিনে নাটকীয় মোড় দেখা যায় সোমবার রাতে। গ্রেফতার হওয়া চার জনের জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে, সন্ধ্যায় যে জামিন অনিবার্য বলে মনে হচ্ছিল তাতে রীতিমতো বাধা তৈরি হয়ে যায়। যদিও, এই স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। ফিরহাদ কন্যার অভিযোগ, সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিনের অনুমতি পাশ হতেই তাঁরা সিবিআই-এর কাছে অর্ডার কপি চান। কিন্তু, সিবিআই কর্তৃপক্ষ সেই অর্ডার কপি দিতে অস্বীকার করে।
ফিরহাদ হাকিমের কন্যার অভিযোগ তাঁর সামনেই সিবিআই-এর অফিসার বলতে থাকেন দিল্লি থেকে ফোন আসছে। এই মুহূর্তে অর্ডার কপি দেওয়া যাবে না। অর্ডার কপি নিয়ে এমন টালবাহানা রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পুরো ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ-কে নিশানা করেন। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামিন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে, তা নিন্দনীয়।